ডিসেম্বরে “ফ্লপ-শো” শুভেন্দুর, ২ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় পাল্টা ধামাকার ইঙ্গিত কুণালের

রাজনৈতিক মহল কুণালের এই বিশেষ তারিখকে তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত বলেই মনে করছে। সম্প্রতি। কাঁথির জনসভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ছোট্ট করেতৃণমূলের দরজা তিনি খুলবেন

ডিসেম্বর নিয়ে ফের ডিগবাজি শুভেন্দুর। হাস্যকর ব্যাখ্যা বিরোধী দলনেতার। ডিসেম্বর ধামাকা নিয়ে ফের সুর বদল করলেন। ১২, ১৪, ২১ তারিখ নিয়ে দিলেন হাস্যকর ব্যাখ্যা! আগে একবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ডিসেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার আর থাকবে না। পড়ে তাঁর ব্যাখ্যা ছিল তাঁর মন্তব্যের “অপব্যাখ্যা”। তিনি নাকি সরকার পড়ে যাওয়ার কথা বলেননি। বিজেপি মানুষের রায় নিয়ে সরকারে আসবে সেটা বোঝাতে চেয়েছেন।

আবার বেশ কিছু দিন ধরেই শুভেন্দু তিনি বলে এসেছেন, ‘‘বড় চোর” ধরা পড়বে ডিসেম্বরে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় এলাকায় গিয়ে এ মাসেই লাড্ডু বিলি করে বিজয় উৎসব করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এমনকি, বৃহস্পতিবার ১২, ১৪ ও ২১ তিনটি তারিখ উল্লেখ করে বলেছিলেন, “অপেক্ষা করুন আর দেখতে থাকুন!” কিন্তু সুর বদলে গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুর। তিনি এ দিন যা বললেন, তার মূল কথা হল, সরকার মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলায় যদি হেরে যায়, তা হলে বিপুল অঙ্কের টাকা ডিএ বাবদ দিতে হবে। তখন তারা নিজেরাই সরকার ছেড়ে পালাবে!

শুভেন্দুর এমন ডিসেম্বর ডিগবাজি নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ নতুন বছরের শুরুতেই জানুয়ারি মাসের একটি তারিখ-সহ সময় জানিয়ে রাখলেন।
কুণাল ঘোষের টুইট ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা। শনিবার টুইটারে কুণাল ঘোষ লেখেন, “একজন ট্রেনি জ্যোতিষী অনেক তারিখ দিয়েছেন। এবার আমি একটা দিনক্ষণ জানাচ্ছি। এটা আমি এক অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর কাছ থেকে পেয়েছি। তিনি আমাকে বলেছেন, ডিসেম্বরে বিয়ের তারিখ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোনও দিন নেই। কিন্তু ২০২৩ সালে ২ জানুয়ারির দুপুর ১২টা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ।” যদিও জানুয়ারির ২ তারিখ দিনটি কেন বিশেষ হতে চলেছে, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি কুণাল।

তবে রাজনৈতিক মহল কুণালের এই বিশেষ তারিখকে তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত বলেই মনে করছে। সম্প্রতি। কাঁথির জনসভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ছোট্ট করেতৃণমূলের দরজা তিনি খুলবেন। অর্থাৎ বিজেপি থেকে কোনও সাংসদ-বিধায়ক দলবদল করতে পারেন। তাহলে কি সেই দলবদলের দিনক্ষণ আগাম জানিয়ে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র? এ প্রসঙ্গে কুণালের বক্তব্য, সেটা কী হবে তা জানেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সম্পর্কে তাঁর কিছু জানা নেই। ফলে ২ জানুয়ারি ঠিক কীসের ইঙ্গিত দিলেন কুণাল ঘোষ তা জানতে অপেক্ষা করতেই হবে।

Previous articleআজ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি ইংল‍্যান্ড
Next articleচুঁচুড়ায় স্ত্রীকে খু*ন স্বামীর! আলমারির দরজা খুলতেই মেঝেতে দেহ