আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নামছে ফ্রান্স, প্রতিপক্ষ মরক্কো

সেমিফাইনালের আগে আরও একটা বিষয় চিন্তায় রাখছে লরিসকে। প্রতিটি ম্যাচেই বিপুল সমর্থন পাচ্ছেন মরক্কানরা।

আজ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নামছে ফ্রান্স। প্রতিপক্ষ মরক্কো। কাগজ-কলমে তো বটেই। ফুটবল ঐতিহ্যেও মরক্কোর থেকে বহু এগিয়ে ফ্রান্স। চার বছর আগে রাশিয়ার মাটিতে কাপ জিতেছিল দিদিয়ের দেশঁর দল। যা ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়। অন্যদিকে, এই প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মরক্কো। যদিও মাঠে নামার আগে ফরাসি অধিনায়ক হুগো লরিসের মুখে প্রতিপক্ষের ঢালাও প্রশংসা। তিনি বলেন, ‘‘ওরা বেলজিয়াম, স্পেন, পর্তুগালের মতো দলকে হারিয়েছে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউটে উঠেছিল। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে দলটা এই মুহূর্তে কতটা ভাল ছন্দে রয়েছে।’’

সেমিফাইনালের আগে আরও একটা বিষয় চিন্তায় রাখছে লরিসকে। প্রতিটি ম্যাচেই বিপুল সমর্থন পাচ্ছেন মরক্কানরা। ম্যাচ চলাকালীন সারাক্ষণ ড্রাম বাজিয়ে, শিস দিয়ে দলকে সমর্থন করে থাকেন মরক্কোর সমর্থকরা। শুধু আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবেই নয়, আরব দুনিয়ারও প্রতিনিধি হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলছে মরক্কো। লরিসের অনুমান, বুধবারের ম্যাচেও গ্যালারির সিংহভাগ সমর্থন থাকবে মরক্কোর দিকে। তিনি বলছেন, ‘‘কালকের ম্যাচে গ্যালারির পরিবেশ কতটা আগ্রাসী থাকবে, তা এখন থেকেই আন্দাজ করতে পারছি। তবে আমরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি। ম্যাচটা জিতে ফাইনালে উঠতে চাই।’’

ফ্রান্সের সামনে আবার ব্রাজিলের (১৯৫৮ ও ১৯৬২) পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে টানা দু’টি বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। যদিও রেকর্ড নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না দেশঁ। বরং ফুটবলাররা যাতে আত্মতুষ্টির শিকার হয়ে না পড়েন, সেদিকে নজর দিচ্ছেন। পাশাপাশি মরক্কোর হার না মানা মানসিকতা চিন্তায় রাখছে দেশঁকে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে অপরাজিত মরক্কো। সবথেকে বড় কথা, এবারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি গোল হজম করেছেন মরক্কানরা। সেটাও আবার গ্রুপ লিগে কানাডার বিরুদ্ধে আত্মঘাতী গোল! বুধবারের ম্যাচে তাই শুরুতেই গোলের জন্য ঝাঁপাতে চাইছেন ফরাসি কোচ। দেশঁর বড় সুবিধে, তাঁর দুই স্ট্রাইকার এমবাপে ও অলিভার জিরু গোলের মধ্যে রয়েছেন। এমবাপে পাঁচটি এবং জিরু চারটি গোল করেছেন। তবে এমবাপে আবার কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হতাশ করেছিলেন। মরক্কোর বিরুদ্ধে নিজের সেরা অস্ত্রকে সেরা ফর্মে দেখতে চান দেশঁ। মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগুই এমবাপেকে আটকানোর দায়িত্ব দিয়েছেন আশরাফ হাকিমির উপর। এমবাপে ও হাকিমি দু’জনেই খেলেন পিএসজির হয়ে। তাই ক্লাব সতীর্থ এমবাপের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা আছে হাকিমির।

Previous articleদিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়া কর্ণাটকে, এবার বাবাকে খু*ন করে ৩২টুকরো করল ছেলে
Next articleলালনের দেহ নিয়ে বিক্ষোভ পরিবারের! পুলিশের আশ্বাসের পর বগটুইয়ে ফিরল দেহ