অ্যাক্রোপলিস মলে  কাবাব ও বিরিয়ানি ফেস্টিভ্যাল ২০২২ নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে 

১৫- ডিসেম্বর থেকে রবিবার ১৮ ডিসেম্বর প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১০টি কাউন্টারে এই সমস্ত লোভনীয় খাবার পাওয়া যাবে।

বাঙালি চিরকালই খাদ্যরসিক। আর সেই মেনুতে যদি থাকে ‘কাবাব টু বিরিয়ানি’! তো পায় কে !  একেই ডিসেম্বর মাস। তিলোত্তমায় শীতের আমেজ। আর এই আমেজে উৎসব থাকবে না, তা কী করে হয়?

খাদ্যরসিকদের কথা মাথায় রেখে এবার অ্যাক্রোপলিস মলে শুরু হয়েছে ‘বার-বি-কিউ’, চারদিনের কাবাব ও বিরিয়ানি ফেস্টিভ্যাল। ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে এই বিরিয়ানি এবং কাবাব ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন হয়। চিকেন হারিয়ালি কাবাব থেকে রেশমি চিজ কাবাব, জিভে জল আনা হান্ডি বিরিয়ানি থেকে শুরু করে হায়দরাবাদি বিরিয়ানি,  কী নেই! যেন পরিপূর্ণ শীতের নস্টালজিয়া। চার দিনের এই লোভনীয় খাবার খেতে হলে আপনাকে আসতেই হবে – ‘অ্যাক্রোপলিস মল’।

১৫- ডিসেম্বর থেকে রবিবার ১৮ ডিসেম্বর প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১০টি কাউন্টারে এই সমস্ত লোভনীয় খাবার পাওয়া যাবে। কমিউনিটি পার্টনার হিসাবে রয়েছে ভোজ আড্ডা।

অ্যাক্রোপলিস মলের জিএম, কে বিজয়ন এবং অভিনেত্রী তৃনা সাহা ও গায়ক সৌমিত্র রায় এর উপস্থিতিতে এই ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনের পরে ফুড ফেস্টিভ্যাল নিয়ে অ্যাক্রোপলিস মলের জিএম কে বিজয়ন বলেন-, “অ্যাক্রোপলিসে আমরা বিভিন্ন ধরণের উৎসবের আয়োজন করে থাকি। “বার-বি-কিউ” নামের ফুড ফেস্টিভ্যালটি স্পেশালি কাবাব এবং বিরিয়ানি নিয়ে। যারা বিরিয়ানি প্রেমী, তাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। আশা রাখি এই উৎসব দারুণ সাফল্য পাবে এবং আমরা আমাদের অতিথিদের পছন্দের আধিক্য দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারবো। তাই আমরা কলকাতার ভোজনরসিকদের কথা মাথায় রেখে এই উৎসব আয়োজন করেছি।”

কলকাতা সুস্বাদু ক্যালকাটা ডেলিসিয়স, হট লেবানিজ, পেয়ারে কাবাব, বাডি বাইটস, দ্য বিরিয়ানি স্টিট, ৩৬-ব্যাঞ্জন, সেনগুপ্তা’স, রুপকথা, দ্য বিরিয়ানি স্টোরি এবং পৌষ পার্বণ এর মতো নামিদামি ফুড উদ্যোক্তারা তাদের খাবারের সম্ভার নিয়ে হাজির রয়েছেন ‘বার-বি-কিউ’, কাবাব এবং বিরিয়ানি ফেস্টিভ্যালে।

প্রসঙ্গত, মার্লিন গ্রুপের তৈরি ‘অ্যাক্রোপলিস মল’টি ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়। এটি একটি আইকনিক স্থাপত্যের মাস্টারপিস যা একটি কাঁচের সামনের দিকে ঢাকা এবং এর উচ্চতা সাড়ে চার লক্ষ বর্গফুট। বিশাল এই এলাকায় পাঁচটি স্তরের পার্কিংয়ের সুবিধা রয়েছে। মলটিতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষের ভিড় জমে। অ্যাক্রোপলিস মল হল কলকাতার প্রথম মল যেখানে অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে৷

কলকাতার অত্যাধুনিক মলগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। যেখানে পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রনিক গেজেট, গহনা, লাগেজ, প্রসাধনী, মুদি জিনিসপত্র, খাবারের আইটেম ও সেলুনের ৬২টিরও বেশি বিখ্যাত ব্র্যান্ড রয়েছে। এছাড়া চার স্ক্রিন মাল্টিপ্লেক্স, প্রশস্ত ফুড কোর্ট, ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁ, পরিবার এবং শিশুদের বিনোদন জোন সহ এই মলটি পরিবারের একটি উপযুক্ত গন্তব্য।
অ্যাক্রোপলিস গত পাঁচ বছরে বেশ কিছু আকর্ষণীয় ইভেন্ট, ফ্যাশন শো, সাংস্কৃতিক উৎসব এবং জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের আয়োজন করে আসছে এবং একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট সংস্থা হিসেবেও কমিউনিটিতে অবদান রেখেছে। এটি রুবি হাসপাতালের আশেপাশে বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য পুরানো কাপড় সংগ্রহ করার একটি উদ্যোগ নিয়েছে এবং তাদের জন্য কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ নামক এনজিও কে দায়িত্ব দিয়েছে।

Previous articleএবার খ্রিস্টমাস ফেস্টিভালে বিশেষ চমক রাজ্যের, জানালেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়
Next articleপ্রথমবার বিজেপি রাজ্য দফতরে অমিত শাহ, বললেন কম, শুনলেন বেশি