চিন-সহ বিশ্বে বাড়ছে করোনা! ভিড়ে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ কেন্দ্রের, ফিরছে বুস্টার

সামনেই উৎসবের মরসুম। বড়দিন থেকে শুরু করে বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। আর তারমধ্যেই চিনে নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। আর সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ভিড়ের জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দিল কেন্দ্র। বিশেষত প্রবীণ ও কো-মর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্র। অন্যদিকে রাজ্যগুলিকে করোনার জিনোম সিক্যুয়েন্সিং পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আচমকা চিন ও আমেরিকা সহ বিশ্বে করোনার বাড়বাড়ন্তে কপালে চিন্তার ভাঁজ নয়াদিল্লির। জানা যাচ্ছে, আগামী ৩ সপ্তাহে চিনে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবারই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সারেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন করোনা বিশেষজ্ঞ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এদিনের বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষজ্ঞ এবং আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলাম। করোনা এখনও শেষ হয়নি। সকলেই আমি সতর্ক থাকতে এবং নজরদারি আরও বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছি। আমরা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তৈরি। আপাতত ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কোনও ঝুঁকি নেওয়ার পক্ষপাতী নয় ভারত। আপাতত সকলের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক না হলেও ভিড়ের জায়গায় সেই করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। লন্ডনের একটি স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এখনই যদি কঠোর পদক্ষেপ না করে চিনা সরকার, তবে ২০২৩ সালে চিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ লক্ষ হতে পারে। এপ্রিল মাসের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ২২ হাজার জনের মৃত্যু হতে পারে। করোনা টিকাকরণ ও বুস্টার ডোজ়ের হার কম হওয়ার কারণেই নাগরিকদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তৈরি হয়েছে।

চাইনিজ সেন্টার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান জানিয়েছেন, বর্তমানে করোনার বাড়বাড়ন্ত চলতি শীতে শীর্ষে পৌঁছবে। প্রায় তিন মাস ধরে চলবে করোনার ৩টি ওয়েভ। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথম ওয়েভ চলবে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। দ্বিতীয় ওয়েভ সম্ভবত নববর্ষের কারণে দেশ জুড়ে কয়েক লক্ষ মানুষের জমায়েতের পরই শুরু হবে।

এদিকে নতুন করে করোনার ধাক্কায় বেহাল অবস্থা চিনা অর্থনীতির। খোদ বিশ্বব্যাঙ্ক চিনা অর্থনীতির বৃদ্ধির সম্ভাবনায় শঙ্কা প্রকাশ করেছে। বৃদ্ধি হলেও তা হবে আশার চেয়ে কম। মঙ্গলবারের রিপোর্ট মোতাবেক বিশ্বব্যাঙ্ক প্রতিবেশী দেশটির আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪.৩ শতাংশ থেকে নামিয়ে ২.৭ শতাংশ করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন- নেই বিরোধীদের উদ্যোগ, আপাতত স্থগিত রাজ্যের নদী ভাঙন মোকাবিলায় একযোগে দিল্লি যাওয়ার কর্মসূচি

Previous articleনেই বিরোধীদের উদ্যোগ, আপাতত স্থগিত রাজ্যের নদী ভাঙন মোকাবিলায় একযোগে দিল্লি যাওয়ার কর্মসূচি
Next articleBreakfast news :. ব্রেকফাস্ট নিউজ