এসএসসি এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার ফের আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। এদিন আদালতে পেশ করার আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একটু হালকা মেজাজেই দেখা গেল।

এদিন আদালতে পেশের আগে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের মাধ্যমে আসন্ন ইংরেজি নববর্ষ এবং তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলীয় কর্মীদের। তিনি বলেন, ”সর্বপ্রথমে ২০২৩-এর নববর্ষের এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে সমস্ত সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানাই। ইংরেজি নববর্ষে সমস্ত সহকর্মী, বন্ধু বান্ধবদের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানাই।”


শুধু তৃণমূল পরিবার নয়, তাঁর বিধানসভা এলাকা বেহালা পশ্চিমের মানুষকেও নববর্ষের অগ্রিম অভিনন্দন জানান। বেহালার উপর দিয়ে জোকা থেকে তারতলা মেট্রো চালু হওয়ার প্রসঙ্গ পার্থর বক্তব্য, “বহু প্রতীক্ষিত জোকা থেকে তারাতলা মেট্রো রেল চালু হোক। আমাদের বহু দিনের শখ। তা যেন পূর্ণতা পায়।”

বারবার আদালত চত্বরে এসে সাংবাদিকদের দেখেই তৃণমূল সম্পর্কে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গভীর ভালবাসার কথা বা শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি এখনও শাসক দলের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে পার্থর? যদিও বিরোধীদের দাবি পত্রপাট খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বহিষ্কার হওয়ার পর থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। পার্থর মন্তব্য একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত। কোনওভাবেই তাতে আমল দিতে রাজি নয় দল। কুণাল ঘোষের কথায়, “পার্থবাবু তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। মন্ত্রিসভা এবং দল থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্থবাবুর কিছু কাজ দল ভাল চোখে নেয়নি, তাই এই সিদ্ধান্ত। পার্থবাবু বয়স্ক মানুষ। দীর্ঘদিন একটি দলে ছিলেন। দল পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। তবে কী বলছেন তার দায় দল নেবে না।”


উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ৭ জনকে।
