ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছে কোভিড ১৯ (Covid 19) ভাইরাসের দাপট। গোটা দেশে গত কয়েক মাসে ক্রমাগত বাড়ছে কোভিডের দাপট। এই মুহূর্তে ১৫৩ টা নতুন কেস উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Central Health Ministry) রিপোর্টে। এবার নতুন করে গাইডলাইন জারি করল আইসিএমআর (ICMR)।

- কোভিড নিয়ে যে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে তরল অক্সিজেনের ঘাটতি যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখবে রাজ্য।
- অক্সিজেন তৈরির প্লান্ট গুলিকে দেখভাল করে সক্রিয় রাখার পাশাপাশি দ্রুত সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
- প্রতিটি জেলায় জেলায় গাইডলাইন মেনে আরটিপিসিআর (RTPCR)এবং অ্যান্টিজেন টেস্ট (Antigen Test) করা বাধ্যতামূলক।
- চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং এবং থাইল্যান্ড থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
- হাসপাতাল গুলোতে পর্যাপ্ত বেড এবং প্রয়োজনীয় কোভিড সামগ্রী আছে কিনা তার জন্য ড্রাই রান (Dry Run) করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নয়া গাইডলাইনে।
- নতুন ভাইরাসের হদিস পাওয়া মাত্রই জিনোম সিকোয়েন্স এর দিকে জোর দিতে বলা হয়েছে।
- কেন্দ্রের তরফে প্রতিটি রাজ্যে প্রিকশন ডোজ দেওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
- দেশে এখনো মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হয়নি ।তবে পরিস্থিতি যদি দ্রুত হাতে বাইরে চলে যাওয়ার মত অবস্থা তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে সব ধরনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক। নতুন করে সংক্রমণ ঠেকাতে পাঞ্জাব সরকারের তরফে সে রাজ্যে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কর্ণাটকেও চালু হয়েছে মাস্ক বিধি।


আশঙ্কা বা আতঙ্কের কোনও কারণই নেই। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। তবুও সাবধানের মার নেই। বড়দিনের উৎসবে কোভিড-সুরক্ষায় সমস্তরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে সেন্টপলস ক্যাথিড্রাল সহ কলকাতার চার্চগুলি। মাস্ক পরে চার্চে প্রবেশের জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজেশনে। প্রার্থনার সময় তো বটেই, সাধারণ দর্শনার্থীরাও যাতে যথাসম্ভব দুরত্ববিধি মেনে চলতে পারেন,নজর রাখা হচ্ছে সেদিকেও। একই প্রয়াস ঐতিহ্যশালী বো-ব্যারাকেও। শুধু চার্চেই নয়, পার্ক স্ট্রিট এবং লাগোয়া এলাকাতেও উৎসবমুখর জনতার স্বতঃস্ফূর্ত প্রয়াস নজর কাড়ছে। সাজগোজের অঙ্গ হিসেবেই ফিরে এসেছে মাস্ক।
