বিপিএল তালিকা নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্যে পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল

যেখানে কোটি কোটি মানুষের ব্যাপার সেখানে শুভেন্দু অধিকারী মেইল পেয়েছেন মাত্র ৪১৩টি।এটা হাস্যকর।

রেশন নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ তোপে উড়িয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, সিপিএম জামানায় যখন বিপিএল তালিকা এসেছিল তখন জেলায় জেলায় সিপিএম নেতাদের আত্মীয়-স্বজন তালিকায় নাম তুলতে লেগে পড়েছিল, এখানে সেরকম কিছুই হয়নি। যেখানে কোটি কোটি মানুষের ব্যাপার সেখানে শুভেন্দু অধিকারী মেইল পেয়েছেন মাত্র ৪১৩টি।এটা হাস্যকর।

বুধবার কুণাল বলেন, যদি কোথাও কোন অনিয়ম হয়ে থাকে সেটা সরকার দেখছে। অবশ্যই সেটা শুধরানো হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি অল্প যে কটা জায়গায় আছে, সেখানে অল্প সুযোগ পেয়েও একই জিনিস করেছে। এটা কীভাবে হতে পারে ? প্রশ্ন তোলেন কুণাল। আবাস যোজনা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ২০১৮ সালের তালিকা ২০২২ সালে দেখা হচ্ছে। এই চার বছরে কেউ এমন কিছু জিনিস কিনেছেন যেটা ১৭ দফা তালিকার আওতাভুক্ত সেক্ষেত্রে তাকে কীভাবে বাতিল করা যায়? সময়ের সঙ্গে কিছু স্থানীয় সমীকরণ তৈরি হয়, এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ রাজনীতির কোনও যোগ নেই।

‘এক ডাকে অভিষেক’ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, এটা মানুষের কাছে একটা বার্তা। যাতে সরাসরি তারা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন এবং যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেখানে যিনি দায়িত্ব আছেন যাতে কোনওভাবে সেই দায়িত্ব থেকে কোনও বিচ্যুতি না ঘটে, কোনও ভুল ভ্রান্তি না হয় সেই কারণেই এটা একটা পদ্ধতি।

বাসের ভাড়া নিয়ে কুণাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী চান না বাসের ভাড়া বাড়ুক। কারণ, সাধারণ মানুষ বাস ব্যবহার করেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে ডিজেলের দাম পেট্রোলের দাম বাড়াচ্ছে, বিশেষ করে ডিজেলের দাম তাতে ভাড়া বাড়ালে সাধারণ মানুষের বাজেট বাড়বে।

বরং কুণাল প্রশ্ন তোলেন, বিজেপি কী চাইছে পাহাড়ে অশান্তি হোক, পর্যটক যাবে না, অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ুক, আবার রক্ত ঝরুক ? এরই মধ্যে পাহাড়ে একটা রাজনৈতিক সমীকরণ হচ্ছে এটা তো স্বাভাবিক, এটাতো গণতন্ত্রের লক্ষণ। সেখানে কি দায়িত্ব পেল কে দায়িত্ব নিল সেটা বড় কথা নয়।  সবচেয়ে বড় কথা পাহাড় একেবারে স্বাভাবিক জনজীবনে আছে। এটাই তো সাফল্য। বিনয় তামাংয়ের দল ছাড়া প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য না করলেও তিনি বলেন, পাহাড়ের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছেন। তারা দেখছেন একজন মুখ্যমন্ত্রী বারবার পাহাড়ে আসছেন। তারা দেখছেন একজন মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের উন্নয়ন চাইছেন। তারা দেখছেন একজন মুখ্যমন্ত্রী ফের পাহাড়ে পর্যটকদের টেনে আনতে সক্ষম হয়েছেন।

এখন ফের পাহাড়ে শুটিং হচ্ছে। পর্যটক আসায় মানুষের আয় বেড়েছে। ফলে পাহাড়ের মানুষ পুরোদস্তুর তৃণমূল কংগ্রেসকে আশীর্বাদ করছেন। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, এটা ওদের দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি। কংগ্রেসের উচিত  বিজেপিকে যেখানে মোকাবিলা করার কথা সেখানে এই ধরনের কর্মসূচি নেওয়া, নিজেদের শক্তিশালী করা।

বাংলায় তৃণমূল একাই দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে বিজেপিকে হারানো যায়। যারা এখনও কংগ্রেসে আছেন তারা যদি সত্যি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চান তবে তাদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাহায্য ছাড়া লড়ার দ্বিতীয় কোনও পথ নেই। ভারত জোড়ো মানে কী সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসকে জোড়ো ? অরিজিৎ সিং এর লাইভ কনসার্ট নিয়ে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন কুণাল।

Previous articleরেলের ওয়েবসাইটে ‘সাইবার’ হানা! ফাঁস ৩ কোটি ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য
Next articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ