কেউ চাপা পড়েছে বুঝতে পেরেও গাড়িটিকে একবার সামনে একবার পিছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল ওরা। গাড়ির নিচে উপুড় হয়ে পড়েছিল অঞ্জলি(Anjali)। এই অবস্থাতেই বারবার গাড়িটিকে(Car) সামনে পিছনে করায় যন্ত্রণায় চিৎকার করছিল অঞ্জলি। ভয়াবহ সেই স্মৃতি অবশেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানালেন অঞ্জলির বন্ধু নিধি।

এদিন সংবাদমাধ্যমকে নিধি জানান, “গাড়িটা ধাক্কা মারতেই আমি এক দিকে ছিটকে পড়ে যাই। আর গাড়ির সামনে পড়ে যায় অঞ্জলি। ও গাড়ির নীচে আটকে গিয়েছিল। আরোহীরা বুঝতে পেরেছিল যে, গাড়ির নীচে কেউ আটকে রয়েছে। ওরা তার পরেও ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার বন্ধুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। অঞ্জলি চিৎকার করছিল। এই দৃশ্য দেখে আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে ওখান থেকে চলে গিয়েছিলাম। ভয় পেয়ে বাড়িতে গিয়ে কাউকে কিছু বলিনি। শুধু কাঁদছিলাম।”

নিধির দাবি এ ঘটনার দিন কয়েক আগে অঞ্জলির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ৩১ ডিসেম্বর অঞ্জলি নিজেকে ফোন করে। তার পর সুলতানপুরী থেকে তাঁকে নিয়ে যায়। তার পর তাঁরা রোহিণী যায়। সেখান থেকে অঞ্জলি নিধিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। তার পর সেখান থেকে বেরিয়ে হোটেলে যায় দুজন।”

নিধির দাবি, রাত দুটো নাগাদ হোটেল থেকে তারা বেরিয়ে আসেন। প্রথমে প্রচন্ড বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছিল অঞ্জলি। ট্রাকের সঙ্গেও এক বার ধাক্কা থেকে অল্পের জন্য বেঁচেছিলেন। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা না হলে নিজেকে শেষ করে দেওয়ারও কথা বলেছিলেন অঞ্জলি। নিধির কথায়, “আমি ওকে গাড়ি থামানোর কথা বলি। কিন্তু ও বলে আস্তে গাড়ি চালাবে। কিন্তু তার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটি যদি ওরা থামাত, তা হলে হয়তো অঞ্জলিকে বাঁচানো যেত।”
