কুণালের উপস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরে কাজু শিল্প বাঁচাও কমিটির রূপরেখা তৈরি

বিজেপির (BJP) কারসাজিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির জুলুমের শিকার পূর্ব মেদিনীপুরের কাজু শিল্প। কাজু শিল্পের উপর নিজেদের দখলদারি কায়েম করতে শিল্পের মালিকদের আয়কর-সহ নানা এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীরা প্রকাশ্য জনসভায় হুমকি দিচ্ছেন। হয়রানি থেকে বাঁচতে তাঁদের সঙ্গে ‘ডিল’ করার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এর জেরে শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লক্ষাধিক মানুষ বিপাকে পড়ছেন। মালিক থেকে শুরু করে শ্রমিক, কর্মচারীরা উদ্বিগ্ন। রাজ্যের পূর্র মেদিনীপুর-সহ অন্যান্য জেলার কাজু ব্যবসায়ী ও শ্রমিক, কর্মচারীদের বাঁচাতে এবার তৈরি হতে চলেছে কাজু শিল্প বাঁচাও কমিটি। বুধবার, কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়ামে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে এই কমিটির প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হয়ে গেল। খুব শিগগিরই আত্মপ্রকাশ করবে এই কমিটি।

এদিন সকালে কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়ামে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে চা চক্রে মিলিত হন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। আলোচনার ফাঁকে উঠে আসে কাজু শিল্পের সমস্যার কথা। মালিকরা অভিযোগ করেন, জিএসটি ও অন্যান্য খাতে তাঁরা নিয়ম মেনে কর দেন। কিন্তু তারপরও জেলায় তাঁদের নানা হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এরপরই কুণালের উদ্যোগে এই কমিটি তৈরির রূপরেখা তৈরি করা হয়। চা-চক্রের পর এদিন সকালে জনমঙ্গলে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে কুণাল ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, অভিজিৎ দাস, তরুণ জানা, উত্তম বারিক, সুপ্রকাশ গিরি, তন্ময় ঘোষ-সহ জেলার ব্লক ও অঞ্চল নেতৃত্ব। এরপর পিছাবনিতে একটি জনসংযোগ যাত্রায় অংশ নেন কুণাল ঘোষ। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি, সুপ্রকাশ গিরি-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কদিন আগেই ওইখানে সভা করে গিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। তাঁকে ‘স্মৃতিভ্রষ্ট’ ইরানি বলেও তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল।

আরও পড়ুন- ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’- কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উৎসাহ জেলায় জেলায়

 

 

Previous article‘দিদির সুরক্ষা কবচ’- কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উৎসাহ জেলায় জেলায়
Next articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ