গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে এবার সিউড়ির সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে(Co-Operative Bank) অভিযান চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই(CBI)। এই অভিযানে ওই ব্যাঙ্কে ১৭৭ টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ পেলেন তদন্তকারিরা। সিবিআইআধিকারিদের অনুমান কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশ্যে এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছেন আধিকারিকরা। অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ১০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। ব্যাঙ্কের ঢুকে সমস্ত তথ্য পেনড্রাইভে সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে ৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

সিবিআই আধিকারিকদের ধারণা, কৃষকদের থেকে অল্প দামে নগদে ধান কিনে তা চালকলগুলিতে চাল করে রাজ্যের খাদ্য দফতরের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, খাদ্য দফতরের থেকে পাওয়া চেক ওই বেনামি অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে। এদিন সমবায় ব্যাঙ্কে গিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে সিবিআই জানতে চায়, কী ভাবে নথি যাচাই না করে ব্যাঙ্কে ১৫০টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলতে দিলেন তিনি? সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য জানান, আপনার ব্যাঙ্কে কে এসেছিল তা আমি জানি, কিন্তু আপনার মুখ থেকে তা শুনতে চাই। এমনকী তদন্তে সহযোগিতা না করলে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে ম্যানেজারকে সতর্ক করেন তিনি।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা ৫০টি বেনামি অ্যাকাউন্টের তথ্য পেয়ে হানা দিয়েছিলেন ওই সমবায় ব্যাঙ্কে। সবকটি অ্যাকাউন্টেই আর্থিক লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সিবিআই আধিকারিকদের নির্দেশে ব্যাঙ্কের রেকর্ড রুম থেকে নথি উদ্ধার করেন কর্মীরা। তার পর তা সিবিআই আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন।
