টাকার অভাবে মেলেনি শববাহী গাড়ি, মায়ের দেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ির পথে পাড়ি দিয়েছিল ছেলে। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসল রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর(Helth Department)। জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) এই ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি(Investigation commitee) গঠন করল রাজ্যসরকার(State Govt)। ৫ দিনের মধ্যে ওই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

সমব্যাথী প্রকল্পে পরিবারের সদস্যের মৃত্যুর পর দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য শববাহী গাড়ি রয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। তারপরও মায়ের মৃত্যুর পর সেই গাড়ি পাননি ছেলে। অভিযোগ মৃতদেহ পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে ৩ হাজার টাকা ভাড়া চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। মৃতা লক্ষ্মীরানি দেওয়ানের স্বামী জয়কৃষ্ণবাবু জানান, তাঁদের কাছে মাত্র ১২০০ টাকাই ছিল। অসুস্থ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল পর্যন্ত আনতে ভাড়া দিয়েছিলেন ৯০০ টাকা। এক্ষেত্রে ১২০০ টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি হয়েছিলেন তাঁরা। হাতজোড় পর্যন্ত করেছিলেন, কিন্তু রাজি হননি কেউই। জানান, দিনমজুরি করে এর বেশি দেওয়ার সামর্থ্য কোথায়? বাধ্য হয়ে বাবা আর ছেলে মিলে মৃতদেহ কাঁধে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

সেই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে এগিয়ে আসেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে মৃতদেহ নিখরচায় বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তারা। ঘটনার খবরে নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য প্রশাসন। মেডিক্যাল কলেজের সুপার এবং ভাইস প্রিন্সিপাল কল্যাণ খাঁ ঘটনার কথা জেলা প্রশাসনকে জানান। এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য সমস্ত রকমের পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও।
