টালিগঞ্জে “দিদির সুরক্ষা কবচ” নিয়ে “দিদির দূত” অরূপ বিশ্বাস যা বললেন

এটি একটি প্রতিরক্ষামূলক ঢাল। যা ছটি ক্ষেত্র জুড়ে ১৫টি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্প দিয়ে তৈরি। যা সমগ্র জীবনকাল জুড়ে প্রতিটি বাসিন্দার জীবনকে সুরক্ষিত করে

0
3

আগামী দু’মাসব্যাপী “দিদির সুরক্ষা কবচ” নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবেন “দিদির দূত”রা। রাজ্যের মন্ত্রী তথা টালিগঞ্জের বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস এদিন তাঁর বিধানসভা এলাকায় কীভাবে দিদির দূত হিসেবে কাজ করবেন, তা তুলে ধরেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন টালিগঞ্জের ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররাও।

এক নজরে যা বললেন অরূপ বিশ্বাস:

দিদির সুরক্ষা কবচ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা আমরা বাস্তবায়িত করতে বদ্ধপরিকর। নেত্রীর নির্দেশ মতো আমরা প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছাবো। ৯ জন কাউন্সিলর রয়েছেন টালিগঞ্জ বিধানসভার। আমিও রয়েছি। আমরা দিদির দূত হিসেবে কাজ করবো।

আমরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবো। আশীর্বাদ প্রার্থনা করবো। সম্মানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে মধ্যানভোজ করবো। সরকারি প্রকল্পের জায়গাগুলিতে সারপ্রাইস ভিজিট করবো। দিনের শেষে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবো। রাতে দলীয় কর্মীর বাড়িতে খাওয়া।

এটি একটি প্রতিরক্ষামূলক ঢাল। যা ছটি ক্ষেত্র জুড়ে ১৫টি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্প দিয়ে তৈরি। যা সমগ্র জীবনকাল জুড়ে প্রতিটি বাসিন্দার জীবনকে সুরক্ষিত করে।

প্রকল্পটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের সাক্ষ্য। যার মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি বাসিন্দার জীবন পরিপূর্ণ এবং সুরক্ষিত হয়েছে।

দিদির সুরক্ষা কবচ প্রচার কার্যটিতে দুটি কর্মসূচি থাকবে। প্রথমটি হল অঞ্চলে একদিন নগরে একদিন, যেখানে দলের রাজ্যস্তরের নেতৃত্ব প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত/নগর পরিদর্শন করবেন এবং সেখানে একটি দিন কাটাবেন।

দিনের বেলায় প্রথমে মানুষের কাছে গিয়ে আশীর্বাদ প্রার্থনা করবেন। তারপর সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ। পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে আলাপচারিতা। জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করতে “জনসংযোগ সভা”। দিন শেষ হবে বুথ পর্যায়ে দলীয় কর্মীদের বৈঠকের মাধ্যমে, যেখানে তারা প্রচারকার্যের পরবর্তী কর্মসূচি “দুয়ারে দিদির দূত”র জন্য প্রশিক্ষিত হবেন। সবশেষে নেতা নৈশভোজ করবেন এবং স্থানীয় দলীয় কর্মীদের বাড়িতে রাত কাটাবেন।