বেনজির অনিয়মের অভিযোগ উঠল আরজিকর হাসপাতালে। অভিযোগ, মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য এসেছিল ৫টি মৃতদেহ। সেগুলি পোস্টমর্টেমের আগেই দিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে। কাটাছেঁড়া করে অপারেশনের শিক্ষাও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরে সেগুলো আবার মর্গে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং ময়নাতদন্ত হয়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, অপারেশনের শিক্ষার জন্য ৬টি টাটকা মৃতদেহের দরকার ছিল। হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকরা ৬টি মৃতদেহের জন্য চিঠি লিখেছিলেন হাসপাতালের অধ্যক্ষকে। অধ্যক্ষ সেই খবর পৌঁছে দেন ফরেন্সিক বিভাগে। ফরেন্সিক থেকে জানানো হয় যে টাটকা দেহ পাঠানো হবে।

যদিও অভিযোগের আঙুল উঠেছে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁর নির্দেশেই নাকি ময়নাতদন্তের জন্য আনা দেহ পাঠানো হয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ দায় চাপিয়েছেন ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপকদের ওপরে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে বিভাগীয় অধ্যাপকদের দাবি, গত ২১ তারিখ অধ্যক্ষ লিখিতভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় অন্য জায়গায়। ময়নাতদন্তের জন্য পাঁচটি দেহ আসে হাসপাতালের মর্গে। সেগুলোই বিনা অনুমতিতে চলে যায় অ্যানাটমি বিভাগে। জানা গিয়েছে, পোস্ট মর্টেমের জন্য রাখা সেইসব দেহ কাটাছেঁড়া করেই অ্যানাটমির ক্লাস হয়। পরে সেগুলো আবার ফিরে যায় মর্গে। সেই দেহগুলোর পোস্ট মর্টেমও হয়। তারপর তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। কিন্তু বিনা অনুমতিতে এভাবে কোনও দেহ কাটাছেঁড়া করা যায় না। অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দাবি, পুরো বিষয়টি ভুয়ো। এমন কিছু ঘটলে তদন্ত করে দেখব।অধিকাংশই স্বাস্থ্যভবনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
