নিজেদের স্বার্থে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে উদ্যোগী নয় NGOগুলি: বিস্ফোরক বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী

জয়িতা মৌলিক, ঢাকা, বাংলাদেশ: রোহিঙ্গাদের নিয়ে যথেষ্ট চাপে বাংলাদেশ। ১৯৭১-এ শরণার্থীদের সমস্যা কী? তা বুঝে ছিল বাংলাদেশ। সেদিন তাদের জন্য দ্বার খুলে দিয়েছিল ভারত। সেকথা আজও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন এদেশের মানুষ। আর সেই কথা মনে রেখে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাঁর দেশে আশ্রয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময়ে আগে বিশ্বের তাবড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিশ্রুতি ছিল অন্যান্য দেশের তরফেও। কিন্তু পাঁচ বছর পরে রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে পাঠানোর বিষয়ে আর কারোরই খুব একটা উদ্যোগ নেই। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মামুদ। তাঁর কথায়, রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরিয়ে দিলে তাদের স্বার্থে ঘা পড়বে- সেই কারণেই ঢিলেঢালা মনোভাব বিভিন্ন সংগঠনের।

২০১৭ সালে মায়ানমারের সরকার এবং বৌদ্ধ মৌলবাদীদের অত্যাচারের শিকার হয় জন্মভূমি ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় রোহিঙ্গারা। আশ্রয় নেন বাংলাদেশে। সেই সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি যদি আমার দেশের ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তাহলে আমি আরো ১০ লক্ষ মানুষকে খাওয়াতে পারব।

সেই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রোহিঙ্গাদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে শরণার্থীদের মায়ানমারে ফেরানোর বিষয় উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সেভাবে আর কোনও সহযোগিতা চোখে পড়েনি। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে একেবারেই সচেষ্ট নয়। হাছান মামুদের কথায় রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশে দিয়ে থাকলে এনজিও গুলির লাভ এতে তাদের অর্থ সাহায্য সহ আধিকারিকদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সুতরাং মায়ানমার সরকারকে চাপ দিয়ে রুটিন কাদের দেশের ফেরানোর বিষয়ে কোনো গঠনমূলক পদক্ষেপ করছে না তারা। তথ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মায়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া হলে, তবেই তাঁরা শরণার্থীদের ফেরত পাঠাবেন। সামনে বাংলাদেশ নির্বাচন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে শাসক বিরোধী দুই পক্ষের কাঈছে হাওয়া গরম করার মোক্ষম অস্ত্র।

Previous articleশ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুরন্ত শতরান কোহলির, গড়লেন বিরাট নজির
Next articleএলিতেলি মন্তব্যের পাল্টা মিঠুনকে ধুয়ে দিলেন কুণাল