বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার জাকির: দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কুণাল

বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন (Zakir Hossain)। তাঁর বাড়িতে নগদ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে এই অভিযোগ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বুধবার হঠাৎই সকাল সাড়ে দশটা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জাকিরের বাড়ি ও কয়েকটি অফিসে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। প্রায় ১১ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপরই এই নিয়ে বিরোধীরা আক্রমণ করেন তৃণমূলকে (TMC)। এর প্রেক্ষিতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এভাবে তৃণমূলের (TMC)ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধেতে কলকাতা প্রেস ক্লাবে (Press Club, Kolkata) সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জানান, এই ঘটনায় আইন আইনের পথেই চলবে। কিন্তু এর পিছনে একটা পরিকল্পিত চক্রান্ত রয়েছে। জাকির হোসেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বিড়ি শিল্প ও একাধিক কৃষিভিত্তিক নানা ব্যবসা রয়েছে তাঁর। তিনি পরবর্তীকালে তৃণমূলে যোগ দেন। একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী তাঁর অফিসে বা বাড়িতে নগদ রাখতে পারবেন না, এটা কোথায়, কবে ঠিক হল?

কুণালের মতে, বিড়ি শিল্প বা এই জাতীয় শিল্পগুলি নিয়ে যাঁদের সামান্য ধারণা আছে, তাঁরা জানেন এই সব শিল্পে দৈনিক মজুরি নগদে দিতে হয়। ফলে এর জন্য নগদের প্রয়োজন হয়। ফলে বাড়িতে বা অফিসে তিনি নগদ রাখতে পারেন।

এক্ষেত্রে যাঁর কাছ থেকে নগদ পাওয়া গেল, সেটা কোথা থেকে এলো- তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগই দেওয়া হল না, তার আগেই এই তল্লাশি ও টাকার ছবি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হল। ফলে গোটা ঘটনাক্রম দেখে দল মনে করে এর পিছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে। এভাবে মিডিয়া ট্রায়াল করে জাকির হোসেন ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে- অভিযোগ কুণালের।

বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে আক্রমণ করে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, দলবদলু বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যে বলে দিচ্ছেন, এবার এর বাড়িতে এজেন্সি যাবে, ওর বাড়িতে যাবে। দেখা যাচ্ছে তারপরই এজেন্সি সে সব জায়গায় যাচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর নাম নারদার এফআইআরে রয়েছে। এক অভিযুক্তর ফ্ল্যাট থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল মিলেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতে কতবার তল্লাশি হয়েছে? প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ।

বাজেয়াপ্ত টাকা যদি অবৈধ হয় তাহলে আইনি ব্যবস্থা যা হওয়ার হবে। কিন্তু এই ভাবে ছবি ছড়িয়ে দিয়ে শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের হেনস্থা করা হয় তাহলে চারটি জেলার কত মানুষ রোজগার হারাবেন সেটা দলবদলু বিজেপি নেতারা জানেন? এভাবে রাজ্যের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কুণাল।

Previous articleগঙ্গাসাগর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে কলকাতা ফিরলেন উত্তরপ্রদেশের চন্দ্রাবতী !
Next articleপ্রয়াত আরজেডি নেতা শরদ যাদব, শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে