‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে শুক্রবার হলদিয়ায় জনসংযোগ সারলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে এক হাত নেন কুণাল।তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওরা লুটপাট চালাচ্ছে। আর মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এনআরসি, সিএএ-এর ধুয়ো তুলছে। আমরা স্পষ্ট বলছি বাংলায় এসব হবে না। বাংলায় যারা আছেন তারাই বাংলার নাগরিক। কুণালের স্পষ্ট কথা, যে ভোটার তালিকায় নাম আছে বলে মানুষ ভোট দিয়েছেন তারা তো নাগরিক। না হলে শান্তনু ঠাকুরই বা সাংসদ হলেন কী করে ? তাহলে তাদের আবার নতুন করে কেন নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে। আর অনুপ্রবেশ রোখার দায়িত্ব তো অমিত শাহের বিএসএফের। সেখানে রাজ্য পুলিশের কোনও ভূমিকাই নেই।

তৃণমূল মুখপাত্রের স্পষ্ট কথা, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পে শান্তনু ঠাকুরের নাম আসছে। আর সেই দিক থেকে নজর ঘোরাতেই তিনি সেই কুমীরছানার মতো এনআরসি, সিএএ প্রসঙ্গ তুলছেন। যাতে মানুষ সেই আলোচনাতে ব্যস্ত থাকে। কুণাল সাফ বলেন, শান্তনু ঠাকুরের মতো মন্ত্রী যাবে আসবে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের ছিল তৃণমূলের আছে তৃণমূলে থাকবে।রাজ্যের উন্নয়ন করছে তৃণমূল। যেখানে ভুল ভ্রান্তি আছে তা খুঁজে বার করতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে ‘দিদির দূত’।ভুল থাকলে শুধরে নেওয়ার চেষ্টাও করছে তৃণমূল। সেখানে বিরোধীদের কোনও জায়গা নেই।
বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার ‘রক্তগঙ্গা’ বইয়ে দেওয়ার যে মন্তব্য করেছেন, এদিন তাকে ফাঁকা আওয়াজ বলে কটাক্ষ করলেন কুণাল। তিনি বলেন, যাদের সংগঠন নেই তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। এবং বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর উল্টো ভাবে গঙ্গা আরতি করা প্রসঙ্গে কুণালের কটাক্ষ, যারা হিন্দুদের সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই তারা কোন সাহসে আরতি করতে যায়? তিনি বলেন, যেভাবে উল্টো আরতি করেছে তাতে গোটা হিন্দু সমাজের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

আর ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট কথা, দিদির দূতরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। কোথাও কোথাও হয়তো সত্যি কাজ বাকি আছে। সে কথা তারা বলবেন স্বাভাবিক ! আর সেটা শোনার জন্যই তো মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে দিদির দূতরা। প্রচুর ভালো কাজ হয়েছে, মানুষ দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছেন।
