মকর সংক্রান্তির শাহিস্নানের জন্য প্রস্তুত গঙ্গাসাগর, ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন অরূপ-সুজিত-স্নেহাশিস

শুক্রবার মেলায় পৌঁছেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বঙ্কিম হাজরা। এদিন মেলা অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে অরূপ জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজে মেলার প্রস্তুতি ঘুরে দেখে গিয়েছেন।

শনিবার বিকেল থেকে গঙ্গাসাগরে শুরু হবে মকর সংক্রান্তির শাহিস্নান। তার আগেই সাগরমেলায় রেকর্ড ভিড়। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৩১ লক্ষ পুণ্যার্থী মেলায় এসেছেন। বাবুঘাট, হাওড়া, লট নম্বর আট, কচুবেড়িয়ার পথে হাজার হাজার পুণ্যার্থী। শনিবার সকালে ভিড় আরও বাড়বে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ মতো আলোকমালায় সেজে উঠেছে গঙ্গাসাগর (Gangasagar)। সন্ধে নামলেই অপূর্ব দৃশ্য ধরা পড়ছে কপিলমুনি আশ্রম সংলগ্ন অঞ্চলে।

শনিবার বিকেল থেকে এবারের মকর সংক্রান্তির শাহি স্নানের যোগ শুরু হবে। চলবে রবিবার বিকেল পর্যন্ত। এবারের ভিড় ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান পুলিশের। গত দু’‌বছর করোনা অতিমারির জন্য আদালতের নির্দেশে ভিড়ের ওপর রাশ টানতে হয়েছিল। কিন্তু এবার কোন বিধিনিষেধ না থাকায় ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়া বাবুঘাট থেকে সাগর পর্যন্ত যাত্রাপথ আগের থেকে অনেক মসৃণ করা হয়েছে। এবার যাত্রীনিবাস, পানীয় জল, অস্থায়ী শৌচাগারের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। শুক্রবার মেলায় পৌঁছেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas), সুজিত বসু (Sujit Basu), স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehashis Chakraborty), বঙ্কিম হাজরা (Bankim Hazra)। এদিন মেলা অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে অরূপ জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজে মেলার প্রস্তুতি ঘুরে দেখে গিয়েছেন। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) কিছু নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতো মকরস্নানের সময় সাগরতটে ৩৩টি হাইমাস লাইট লাগানো হয়েছে। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় ১৪ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। যথেষ্ট পরিমাণ ব্যারিকেড, ড্রপগেট, ওয়াচটাওয়ার নির্মাণ হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স, এনডিআরএফ, নৌ বাহিনী, উপকূল রক্ষী বাহিনী প্রচুর নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে।

এবার মেলার মাঠে বাংলা, হিন্দি, ইংরাজি, ওড়িয়ার পাশাপাশি ভোজপুরি ভাষায় ঘোষণা করা হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন ভাষায় লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। প্রতিটি যানবাহনকে জিপিএসের আওতায় আনা হয়েছে। এবার ড্রেজিং ভাল হওয়ায় মুড়িগঙ্গা নদীতে ২২ ঘন্টা ভেসেল চালানো সম্ভব হচ্ছে। মেলা মাঠে ১০ থেকে ১২ লক্ষ পুণ্যার্থীদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। এবারেও অনলাইনে পুজো দেওয়া ও প্রসাদ পাওয়ার ব্যবস্থা আছে। এদিন পর্যন্ত ই-‌দর্শন করেছেন ৪০ লক্ষ ৭০ হাজার। ই-‌স্নান করেছেন এক হাজার একশ চৌত্রিশ জন। ই-‌পুজো দিয়েছেন ১০ লক্ষ ৫০ হাজার। এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে হেলিকপ্টারে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধের কারণে ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১২ জন নিখোঁজকে খুঁজে দেওয়া হয়েছে।

 

 

Previous articleএনআরসি-সিএএ নিয়ে শান্তনু ঠাকুরকে খোঁচা কুণালের
Next articleকোভিড নিয়ে বাড়তি সতর্কতা! ৩০৭ কোটি অর্থ বরাদ্দ রাজ্যের