সমাজের সব স্তরের মানুষ ডুব দিয়েছেন গঙ্গাসাগরে, পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী

‘৬০ লক্ষের বেশি লোক ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগরে স্নান করেছেন। আজ আরও ১০ থেকে ১৫ লক্ষ পুণ্যার্থীর সাগরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই সাগরমেলার ব্যবস্থাপনায় খুব সহযোগিতা করেছে। শঙ্করাচার্যও সাগরমেলায় এসেছেন। আমি সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’ সোমবার সাগরদিঘির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নেপালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতিও শোকপ্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে মমতার: তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের

আজ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘিতে প্রশাসনিক সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।  ধুমারপাহাড়  মাঠে প্রশাসনিক সভা করবেন তিনি। পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদের একাধিক রাস্তাঘাটের  উদ্বোধন  এবং শিল্যানাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভা ঘিরে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দফায় দফায় সভাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ-প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ ওই সভা হবে। রাজ্যের মন্ত্রী প্রয়াত সুব্রত সাহার বিধানসভা ছিল সাগরদিঘি।  তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনিক সভাটি সাগড়দিঘিতেই করতে চেয়েছিলেন। প্রশাসনিক সভা হলেও একে ঘিরে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে  জেলা তৃণমূল শিবিরে। ৩৪ নং জাতীয় সড়কের পাশেই ধুমারপাহাড় মাঠে প্রশাসনিক সভার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে।বিশাল এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে স্টিলের হ্যাঙার করা হয়েছে। তার পাশেই তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাড (Helipad)।

এদিকে বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানেও একটি হেলিপ্যাড করা হয়েছে। ওই হেলিপ্যাডে নেমে বহরমপুরে প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত সাহার (Subrata Saha) পরিবারের সঙ্গে  দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সভার প্রস্তুতি দেখতে রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, জেলা পুলিশসুপার সুরিন্দর সিং-সহ অন্যান্য জেলা আধিকারিকরা উপস্থিত হন। এছাড়া জঙ্গিপুর ও বহরমপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব উপস্থিত হন ধুমারপাহাড় মাঠে। তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান বলেন,  মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা শুরু হয়েছে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে। নওদা ব্লকের সাকোয়া পেট্রোল পাম্প থেকে আলমডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই পাকা রাস্তা হওয়ার ফলে এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের মুর্শিদাবাদ থেকে নদিয়া যাওয়া সুবিধা হবে। এদিকে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে কান্দি ব্লকের কুলি থেকে ফুটিসাকো পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি  ব্যয়ে নির্মিত পিচ রাস্তা উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। খড়গ্রামের  রুহিগ্রাম ভায়া সাদল পর্যন্ত ৪ কোটি ৬৫ লক্ষ্য টাকার রাস্তার উদ্বোধন করবেন তিনি। ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত জঙ্গিপুরের কাঁকসা ব্রিজেরও উদ্বোধন হবে সাগরদিঘির ওই প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকেই। এছাড়া  কলকাতার বিধাননগরে ‘মুর্শিদাবাদ ভবন’ উদ্বোধন করবেন  বলে জেলাপরিষদ সূত্রে খবর। এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা  বিশ্বাস বলেন, শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার ১০০-র বেশি মানুষকে পাট্টা বিলি করবেন। ওই মঞ্চ থেকেই বেশকিছু মানুষকে ট্রাই সাইকেল এবং ছাত্রীদের ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের সাইকেল দেওয়া হবে।

 

Previous articleব্যাট হাতে বিজেপি বিধায়ক, বল হাতে ছুটছেন তৃণমূল নেতা! খেলার মাঠে সৌজন্যের নজির
Next articleকেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবের কনভয় দুর্ঘটনা, জখম একাধিক নিরাপত্তারক্ষী