বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় সৌমিত্র-সুজাতা আদালতে স্বশরীরে হাজির থেকে কী বললেন?

২০২০ সালের ডিসেম্বরে সকলকে চমকে দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা। ওইদিনই সংবাদমাধ্যমে সুজাতার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা জানান সৌমিত্র

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের দলবদলু বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ২০১৬ সালে পয়লা জুলাই সুজাতা মন্ডলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তখন সৌমিত্র তৃণমূলে ছিলেন। এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রতীকে প্রার্থী সৌমিত্র হয়ে দাঁড়ান সৌমিত্র। কিন্তু সেই সময় নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রের একটি বড় অংশে তাঁর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল আদালতের। অগত্যা সৌমিত্র ভোট বৈতরণী পার হওয়ার গুরু দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন স্ত্রী সুজাতা। প্রচারে স্বশরীরে হাজির না থেকেও সৌমিত্র নিজের কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। তাঁর জয় ও সাংসদ হওয়ার পিছনে মূল কারিগর ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুজাতা-ই।

এরপর কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই সুজাতার অবদান ভুলে যান সৌমিত্র। স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে মানসিক দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সকলকে চমকে দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা। ওইদিনই সংবাদমাধ্যমে সুজাতার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা জানান সৌমিত্র। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সৌমিত্র স্ত্রীর সঙ্গে পাকাপাকিভাবে সম্পর্ক ছেদের জন্য ডিভোর্স মামলা দায়ের করেন।

এদিন আরও একবার সেই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা নিয়ে আদালতে উঠেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। মামলার শুনানিতে আজ ফের তাঁরা জানালেন, আর তাঁরা একসঙ্গে থাকতে চান না। অনেক চিন্তাভাবনা করেই তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মামলায় আজ মিউচুয়াল ডিভোর্সের শুনানি হল বাঁকুড়া জেলা আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে দু’জনের উপস্থিতিতে চলে শুনানি। সুজাতা জানিয়েছেন, এই ডিভোর্সের মামলায় তাঁর কোনও দাবি-দাওয়া নেই। বিষয়টি বিচারাধীন। আদালত চাইলে দ্রুত এই মামলার নিস্পত্তি হবে। অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যমে সৌমিত্র খাঁ বিষয়টিকে ব্যক্তিগত বলে এড়িয়ে গিয়েছেন।

সৌমিত্রর আইনজীবী সোমনাথ রায় চৌধুরী বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য তাঁরা আদালতের কাছে আবেদন করেছিকেন। আজ বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, “আপনারা কি সংসার করতে চান?” দু’জনেই জবাবে বলেন, “না। আমরা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা আর একসঙ্গে সংসার করব না”।

আরও পড়ুন- আরও বিপাকে মানিক ভট্টাচার্য, ২ লক্ষ টাকা জরিমানা কলকাতা হাইকোর্টের