দিল্লিতে খোদ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে কুপ্রস্তাব, প্রতিবাদ করতেই টেনে নিয়ে গেল গাড়ি

গতকাল ভোররাতে স্বাতী মালিওয়ালকে কার্যত হিঁচড়ে টেনে নিয়ে গেল গাড়ি। চালক শুরুতে স্বাতীদেবীকে গাড়িতে উঠে আসার জন্য জোর করতে থাকে, কুপ্রস্তাবও দেয়। স্বাতী প্রতিবাদ করলে তখন তাঁকে কার্যত জোর করে হিঁচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি

0
1

খোদ দেশের রাজধানী শহর দিল্লির আইন-শৃঙ্খলার ভয়ঙ্কর অবনতি। মহিলাদের নূন্যতম সুরক্ষা নেই বললেই চলে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় বারবার শিরোনামে এসেছে দিল্লি। সাধারণ মহিলাদের নিরাপত্তা তো দূরঅস্ত, এবার দিল্লির বুকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে পড়লেন খোদ মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। ঘটনা রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো।

গতকাল ভোররাতে স্বাতী মালিওয়ালকে কার্যত হিঁচড়ে টেনে নিয়ে গেল গাড়ি। চালক শুরুতে স্বাতীদেবীকে গাড়িতে উঠে আসার জন্য জোর করতে থাকে, কুপ্রস্তাবও দেয়। স্বাতী প্রতিবাদ করলে তখন তাঁকে কার্যত জোর করে হিঁচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। ঘটনায় অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্তের নাম হরিশ চন্দ্র, বয়স ৪৭ বছর।

আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভোররাতে মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়ালকে
নিজের গাড়িতে বসতে বলেছিল অভিযুক্ত হরিশ চন্দ্র। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছিলেন স্বাতী। তখন জোর করে স্বাতীকে ১০-১৫ মিটার টেনে নিয়ে যায় হরিশ। দিল্লি এইমসের ২ নম্বর গেটের বিপরীতে ভোররাত ৩টে ১১মিনিট নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে।

দিল্লি পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় ছিল হরিশ। স্বাতী এবং হরিশ, দু’জনেরই মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। সেইসঙ্গে জানানো হয়েছে, কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ফুটপাথে দাঁড়িয়েছিলেন স্বাতী।

সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান টুইটারে বলেন, “কাল গভীররাতে দিল্লিতে মহিলাদের সুরক্ষা কতটা, তা খতিয়ে দেখছিলাম। সেইসময় এক মদ্যপ গাড়িচালক আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে। আমায় টেনে নিয়ে যায়। ভগবান আমার প্রাণ বাঁচিয়ে দিয়েছেন। দিল্লিতে যদি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুরক্ষিত থাকেন না, তাহলে বাকি অবস্থা বুঝে নিন।”

উল্লেখ্য, দিল্লিতে নারী-সুরক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। দিল্লির আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে খোদ খোদ অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র দফতর। একের পর এক ঘটনা ঘটছে রাজধানী শহরে। নির্ভয়া কাণ্ড থেকেও শিক্ষা নেয়নি দিল্লি পুলিশ। আর আগে গত পয়লা জানুয়ারি দিল্লির সুলতানপুরীতে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। এক যুবতীকে গাড়িতে টেনেহিঁচড়ে প্রায় à§­ কিলোমিটার নিয়ে গিয়েছিল একদল ‘’মত্ত’’ যুবক। পরে তাঁর নগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ২০ বছরের ওই মহিলার। ওই ঘটনার পর দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ সরব হয়েছিলেন এই স্বাতী মালিওয়াল। এবার তিনিও এরকমই এক ঘটনার শিকার হলেন।