বাস্তবের ‘মুকুল’ ধরিয়ে দিল হ*ত্যাকারীকে, তিন বছরের বিস্ময় শিশুকে ঘিরে শোরগোল!

সিরিয়ার গ্রামে দাঁড়িয়ে শিশুটি তাঁর পূর্বজন্মের খু*নির কথা জানায়। এরপর সেই ব্যক্তির দেখা পেয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করে, তিনি এলি নামের ব্যক্তি কিনা? এরপর শিশুটি জানায় যে তাঁকে সেই ব্যক্তি কুঠার দিয়ে খু*ন করেছিলেন।

0
1

তিন বছরের শিশুর মুখে পূর্ব জন্মের কথা! গল্প নয় সত্যি। সিরিয়ার (Syria) গোলান হাইট অঞ্চলের শিশুকে ঘিরে শোরগোল এলাকাবাসীর মধ্যে। পশ্চিম এশিয়ার (West Asia) ড্রুজ় সম্প্রদায়ের (Druze community) শিশু গড়গড় করে বলে দিল আগের জন্মের কথা আর ধরিয়ে দিল হ*ত্যাকারীকে।

অষ্টাদশ শতকে ড্রুজ়েরা সিরিয়ায় এসেছিলেন মূলত লেবানন থেকে। ড্রুজ় সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, শিশুদের জন্মদাগ আসলে পূর্বজন্মের ইতিহাস বহন করে। আগের জন্মে তাঁর কী ভাবে মৃত্যু হয়েছিল, তা বলে দেয়।সিরিয়ার শিশুটিও ঠিক সেভাবেই তাঁর আগের জন্মের কথা সকলকে বলে দেয়। জানিয়েছিল, তাঁর কপালে কুঠার দিয়ে মেরে খু*ন করা হয়েছিল।শিশুটির কথা শুনে তাঁর মা বাবা পুরনো গ্রামে নিয়ে যান। আসলে শিশু ঠিক বলছে কি না, খতিয়ে দেখতে চাইছিলেন তাঁরা। সেই গ্রামে পৌঁছতেই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। দেখেন, তিন বছরের খুদে যেন পুরো গ্রামটাই চেনে। শিশুটির কপালে ছিল একটা লাল দাগ। সিরিয়ার গ্রামে দাঁড়িয়ে শিশুটি তাঁর পূর্বজন্মের খু*নির কথা জানায়। এরপর সেই ব্যক্তির দেখা পেয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করে, তিনি এলি নামের ব্যক্তি কিনা? এরপর শিশুটি জানায় যে তাঁকে সেই ব্যক্তি কুঠার দিয়ে খু*ন করেছিলেন। ঘটনাচক্রে, ওই অভিযুক্ত আসলে শিশুর পূর্বজন্মের প্রতিবেশী ছিলেন। এরপর শিশুটি সকলকে কবরস্থানে নিয়ে যায় যেখানে তাঁকে পূর্ব জন্মে মেরে পুঁতে দেয়া হয়েছিল বলে সে দাবি করে। মাটি খুঁড়ে, সত্যিই কঙ্কাল পাওয়া যায়। এরপর দোষীকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও পূর্ব জন্মের বিষয়টির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন এখনও রয়ে গেছে।