Friday, December 5, 2025

উত্তরবঙ্গ নিয়ে কুৎসা-অপপ্রচারের মোক্ষম জবাব, উন্নয়নের খতিয়ান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Date:

Share post:

উত্তরবঙ্গ ভাগের ষড়যন্ত্র করছে গেরুয়া শিবির। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। উত্তরের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, অনুন্নয়নের অপপ্রচার করে বিরোধীরা। এই অভিযোগের মোক্ষম জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকে বলেন উত্তরবঙ্গ (North Bengal) কিছু পায় না। এগুলো শুধুই কুৎসা আর অপপ্রচার”। এরপরেই উত্তরের তিন জেলার উন্নয়নে রাজ্য সরকার কী কী প্রকল্প করেছে তাঁর খতিয়ান দেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা জানান, “আলিপুরদুয়ারে (Alipurduwar) লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৪ হাজার, জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার, কোচবিহার (Coochbehar) জেলা ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার। জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি করা হয়। আলিপুরদুয়ার নতুন জেলা। জলপাইগুড়ি ভেঙে আলিপুরদুয়ার করা হয়েছে, আমরাই করেছি। সারা রাজ্যে ৯১ লক্ষ কৃষকবন্ধু পেয়েছেন। আলিপুরদুয়ারে উপভোক্তার সংখ্যা ৮৩ হাজার, ৮৯ হাজার পেয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলায়, ৩ লক্ষ ৭১ হাজার রয়েছেন কোচবিহার। আলিপুরদুয়ারে সবুজ সাথী সাইকেল পেয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ, ৩ লক্ষ ১৩ হাজার জলপাইগুড়িতে, ৪ লক্ষ ২৫ হাজার পেয়েছেন কোচবিহারে। ৭ দিনের মধ্যে বাকিরাও পেয়ে যাবেন। আলিপুরদুয়ারে স্বাস্থ্যসাথীর উপভোক্তা ৪ লক্ষ, জলপাইগুড়িতে রয়েছেন ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার, কোচবিহারে রয়েছেন ৭ লক্ষ ৬১ হাজার। খাদ্যসাথী প্রাপকের সংখ্যা আলিপুরদুয়ার জেলায় ১৪ লক্ষ ৩৯ হাজার, ২১ লক্ষ ৬৭ হাজার জলপাইগুড়ি জেলায়, ৩০ লক্ষের বেশি রয়েছেন কোচবিহারে।’

মুখ্যমন্ত্রী জানান, যেসব চা শ্রমিকরা আবাস যোজনায় বাড়ি পাচ্ছেন না, তাঁদের চা-বাগানের অতিরিক্ত জমি পাট্টা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এবিষয়ে বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। এর পাশাপাশি, চা-শ্রমিকদের শিশুদের জন্য ক্রেশ তৈরি হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেই পরিষেবা চালু হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে তিনজেলা জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে- খাল ও নদীগুলি থেকে চাষের জমিতে জল দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিজেপির নাম না করে মমতা অভিযোগ করেন, উত্তরবঙ্গকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে অনেকে। সামান্য কিছু দিয়ে মানুষের মগজ ধোলাই করতে চাইছে বিরোধী শিবির। কিন্তু উত্তর-দক্ষিণ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে যোগ না থাকলে উত্তরের খাদ্য ভাণ্ডারে টান পড়বে। এই বাস্তবতা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী। বলে, আগের সরকারের আমলে নেতা-মন্ত্রীরা উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যেতেন। আর তিনি বছরে ২০-২৩বার সেখানে যান। মমতার কথায়, “আমার মতো করে উত্তরবঙ্গকে কেউ চেনে না। আমি মানসিকভাবে উত্তরবঙ্গে বাসিন্দা।“

spot_img

Related articles

কুণালে হাত ধরে ‘অরণ্যবহ্নি রানি শিরোমণি’ বইয়ের প্রচ্ছদ প্রকাশ

তাঁর লেখা 'রানি সাহেবা' বইয়ের মাধ্যমে চুয়াড় বিদ্রোহের নেত্রী রানি শিরোমণিকে আবার পাদপ্রদীপের নিয়ে এসেছিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা...

বাংলা সম্পর্কে সংসদে অসত্য বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী! তীব্র ধিক্কার দোলাদের

রাজ্যসভায় সেন্ট্রাল এক্সাইজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিলের উপর আলোচনার শেষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হল।...

সন্দেশখালি কাণ্ডে আরও চাপে শেখ শাহজাহান! হাইকোর্টে বিস্ফোরক রিপোর্ট সিবিআইয়ের

আরও বিপাকে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া সিবিআই–এর সর্বশেষ অনুসন্ধানী রিপোর্টে দাবি করা...

আর জি কর চিকিৎসক অনিকেত মামলায় নতুন মোড়! সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের এসএলপি

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডাঃ অনিকেত মাহাতোর যোগদান সংক্রান্ত মামলায় নয়া মোড়। আগামী ৮ই ডিসেম্বর এই...