শুভেন্দুর থেকে ফোকাস সরাতে সুকান্তর হাতিয়ার মিঠুন

সুকান্ত মজুমদার যখন বুঝতে পারলেন প্রচার মাধ্যমের সব ক্ষির একাই খেয়ে নিচ্ছেন শুভেন্দু, তখনই মাস্টার প্ল্যান ছকে নেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এবং মিঠুন চক্রবর্তীকে হাতিয়ার করে শুভেন্দু থেকে ফোকাস সরাতে চাইছেন সুকান্ত

দলের রাজ্য সভাপতি পদে বসার যে স্বপ্ন শুভেন্দু অধিকারী দেখছিলেন, তা অচিরেই ভঙ্গ হয়েছে। দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্ব দলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে শুভেন্দুকে আর রাজ্য সভাপতি পদে বসায়নি। অন্যদিকে, রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর প্রথম প্রথম শুভেন্দুর সান্নিধ্যে থাকলেও, সুকান্ত পরে বুঝতে পারেন যে, সমস্ত ফোকাস নিজের দিকে টেনে নিচ্ছেন দলবদলু নেতা। তাই দিল্লিতে ঘন ঘন দরবার করে একদিকে যেমন রাজ্য সভাপতির কুর্শি বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন সুকান্ত ঠিক একই ভাবে শুভেন্দুকে কোণঠাসা করতে এখন তাঁর হাতিয়ার মিঠুন চক্রবর্তী।পঞ্চায়েত ভোটকে নজরে রেখে পুজোর আগে থেকেই মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামিয়েছে দিল্লি নেতৃত্ব। আর সেই সুযোগটাকে একশো শতাংশ কাজে লাগাচ্ছেন সুকান্ত। মিঠুন জেলায় জেলায় গ্রামে গ্রামে যেখানেই কর্মসূচিতে যাচ্ছেন, সেখানেই তাঁর ছায়াসঙ্গী হচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার। কোনও জায়গাতেই কিন্তু মিঠুনের সঙ্গী হতে দেখা যাচ্ছে না শুভেন্দুকে। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের এই ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।একটি সূত্র বলছে, সুকান্ত মজুমদার যখন বুঝতে পারলেন প্রচার মাধ্যমের সব ক্ষির একাই খেয়ে নিচ্ছেন শুভেন্দু, তখনই মাস্টার প্ল্যান ছকে নেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এবং মিঠুন চক্রবর্তীকে হাতিয়ার করে শুভেন্দু থেকে ফোকাস সরাতে চাইছেন সুকান্ত।

Previous articleনিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃ*ত্যু সেনা জওয়ানের, আহত ৪
Next articleতদন্তের স্বার্থে খবরের সূত্র জানাতে বাধ্য থাকবেন সাংবাদিক, নির্দেশ আদালতের