প্যারোলে মুক্ত উন্নাওয়ের ধ*র্ষক কুলদীপ! রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি আতঙ্কিত নি*র্যাতিতার

মেয়ের বিয়েতে যোগ দিতে সম্প্রতি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন উন্নাও(Unnao) ধর্ষণের মূল অপরাধী কুলদীপ সিং সেঙ্গার(Kuldip Sing Sengar)। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সহ শীর্ষ নেতৃত্বদের চিঠি লিখলেন আতঙ্কিত উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। তাঁর আশঙ্কা মুক্তি পেয়ে এই মামলার সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে প্রভাবিত করবেন কুলদীপ। চিঠিতে নির্যাতিতার আবেদন দিল্লি পুলিশ(Delhi Police) ও সিবিআইয়ের(CBI) কড়া নজরদারিতেই জেল থেকে বেরনোর অনুমতি দেওয়া হোক কুলদীপকে।

মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কুলদীপ। তার সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাইকোর্ট(Delhi HighCourt)। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে ২৭ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন কুলদীপ। এরপরই দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্ট-সহ একাধিক জায়গায় চিঠি লেখেন উন্নাও নির্যাতিতা। চিঠিতে তিনি আবেদন জানান, “জেল থেকে বেরিয়ে আসছেন কুলদীপ সিং সেঙ্গার। কিন্তু দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রেখেই তাঁকে জেল থেকে বেরনোর অনুমতি দেওয়া উচিত। কারণ আমার মামলায় সাক্ষীদের ভয় দেখানো হবে। তাই আমি চাই, সিবিআই ও দিল্লি পুলিশের কড়া নজরদারিতেই কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হোক।” এমনকি তিনি ও তাঁর পরিবার যে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন সে কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন নির্যাতিতা।

একইসঙ্গে চিঠিতে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁর দিদির বিয়ের অনুষ্ঠানের সময় জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর এক আত্মীয়। কিন্তু জেলে থেকে বেরনোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি। কারণ কুলদীপের এক আত্মীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলবন্দি করা হয়েছিল তাঁকে। তাহলে কুলদীপকে কেন প্যারোলে মুক্তির অনুমতি দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৪ জুনে গণ-ধর্ষিতা হন উন্নাওয়ের কিশোরী। মূল অভিযুক্ত ছিলেন তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার। পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ ছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লেখেন নির্যাতিতা। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে ধর্নায় বসেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। সেখানেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা। এই ঘটনার পর উলটে নির্যাতিতার বাবাকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার বাবার।

Previous articleফের লাইনে কাজ, আগামিকাল থেকে ৪দিন শিয়ালদহ শাখায় বাতিল একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন
Next articleপ্রাপ্য টাকা না দিয়ে কাজের পর্যবেক্ষণে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল, তোপ দাগলেন মমতা !