শহিদ-স্বরাজ দ্বীপ নেতাজির রাখা নাম: মোদিকে কটাক্ষ মমতার, যোজনা কমিশন নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা

নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানানোর নামে কেন্দ্রের মিথ্যাচারের পর্দা ফাঁস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আন্দামান ও নিকোবরের একুশটি অনামী দ্বীপের নাম রাখা হয়েছে বীর সেনাদের নামে। সোমবার, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “শহিদ দ্বীপ, স্বরাজ দ্বীপের নাম, অনেক আগেই নেতাজি দিয়েছিলেন, অন্য কেউ দেননি।“ একই সঙ্গে যোজনা কমিশন (Planning Commission) তুলে দেওয়া নিয়েও কেন্দ্রকে আক্রমণ খোঁচা দেন মমতা।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরমবীর চক্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত ২১ জন সেনার নামে দ্বীপগুলির নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে, রস আইল্য়ান্ডকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপ এবং নীল ও হ্য়াভলককে শহিদ ও স্বরাজ দ্বীপ নাম দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে সেই বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি জানান, আগেই আন্দামান-নিকোবরের দ্বীপপুঞ্জের নাম শহিদদের নামে রাখেন স্বয়ং সুভাষচন্দ্র বসু (Subhas Chandra Basu)।

এদিনের অনুষ্ঠানের নেতাজির আদর্শ আজকের দিনে কতটা প্রাসঙ্গিক সেই কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গে বলতে দিয়ে যোজনা কমিশন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। বলেন, “যোজনা কমিশন তৈরি করেছিলেন নেতাজি, তুলে দেওয়া হয়েছে, দেশে কোনও পরিকল্পনা নেই। দেশের নেতাকে কারও কাছে সার্টিফিকেট নিতে হয় না। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস নেতাজিকে সব থেকে বেশি ভালবাসতেন। আমরা কতজন কে মনে রাখি। আমরা তো রাজনীতির কথা বলি। কিন্তু তাঁদের রাজনীতির মধ্যে সৌন্দর্য ছিল। দেশ নেতা কেমন হোক? নেতাজি, গান্ধীজির মত হোক। আম্বেদকর এর মত হোক, দেশবন্ধু এর মত হোক।“ অতীতের রাজনীতিতে মাধুর্য ছিল বলেও মন্তব্য করেন মমতা।

পাশাপাশি, কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, শুধু ২৬ জানুয়ারি শুধু পতাকা তুলে দেশনেতাদের স্মরণ করলে হবে না- তাঁদের আদর্শে চলতে হবে। “স্বাধীন ভারতের ইতিহাসকে বিকৃত না করে, আসল ইতিহাসটা জানানো উচিত। যদি মানুষ এইটুকু বলার সুযোগ না পান তাহলে কি করে হবে? আজকের দিনে দেশ বড়ো অসহায় । বাংলাকে বাঁচিয়ে রেখেছি। ৩৬৫ দিন বাংলাকে কিছু না কিছু ফেস করতে হয়। আমরা লড়াই করে এসেছি। আমরা লড়তে পারি। অনেকে এজেন্সি এর ভয়ে পালিয়ে যায়। আমরা পালাই না। যত পারো এজেন্সি লাগাও। কিন্তু দেশ টাকে বিক্রি করে দিও না।“

এদিন অনুষ্ঠানে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে মানুষের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে নাম না করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, রাস্তা দিয়ে গেলে মানুষ কিছু বলবে না, তা নয়, ক্ষোভ থাকতেই পারে। মানুষের কিছু জানানোকে বিক্ষোভ বলে না।


Previous articleনেতাজির অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে প্রণাম: সুভাষের জন্মবার্ষিকীতে টুইট অভিষেকের
Next articleদেশনায়কদের ‘চরণ স্পর্শে’: নেতাজির জন্মদিনে প্রকাশের পরেই হিট মুখ্যমন্ত্রীর লেখা দেশাত্মবোধক গানের সংকলন