এখনই লোকসভা ভোট হলে বহু আসন কমবে NDA’র, প্রধানমন্ত্রী মুখে এগিয়ে মমতা

২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে(Parliament Election) মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই কোমর বাধতে শুরু করেছে শাসক বিরোধী দুই শিবিরিই। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার(JP Nadda) কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি বিজেপির(BJP) তরফে ঘোষণা করা হয়েছে ২৪-এ এনডিএর প্রধানমন্ত্রী মুখ নরেন্দ্র মোদিই। তবে প্রস্তুতি পর্ব চূড়ান্ত পর্যায়ে চললেও সাম্প্রতিক রিপোর্টে অস্বস্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরের। ইন্ডিয়া টুডের সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হল, এই মুহূর্তে দেশে লোকসভা নির্বাচন হলে ব্যাপকভাবে কমবে বিজেপি তথা এনডিএ(NDA) জোটের আসন।

ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্টে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ যেখানে ৩৪০ টি আসন পেয়েছিল, এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে সেই আসন নেমে আসতে পারে সর্বোচ্চ ২৯৮ টিতে। শুধু তাই নয়, একক বিজেপির আসন সংখ্যা কমে হতে পারে সর্বোচ্চ ২৮৪ টি আসন। অন্যদিকে এই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে ইউপিএ-র আসন সংখ্যা অনেকখানি বাড়বে। গতবার ইউপিএ যেখানে পেয়েছিল মাত্র ৯০ টি আসন সেখানে এবার তা বেড়ে হতে পারে ১৫৩ টি কংগ্রেস এককভাবে পেতে পারে ৯১ টি আসন। অন্যান্যরা ৯২ টি আসন। আঞ্চলিক দলগুলিও নিজেদের দাপট দেখাবে নির্বাচনে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা বহাল থাকলেও বড় সংখ্যক মানুষ চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসুক দিল্লির মসনদে। মমতার পাশাপাশি তালিকায় রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তায় বেশ পিছিয়ে সোনিয়া তনয় রাহুল গান্ধী। এছাড়া ভোট শতাংশের দিক থেকে ইন্ডিয়া টুডের দাবি আগের চেয়ে ব্যাপক বাড়তে পারে ইউপিএ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির ভোট। রিপোর্ট অনুযায়ী ইউপিএ পেতে পারে ৩০ শতাংশ ভোট। অন্যান্যরা পেতে পারে ২৭ শতাংশ ভোট। বিজেপির এহেন অধঃপতন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের দাবি, দেশে লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, সাম্প্রদায়িক অশান্তি, বিরোধীদের মুখবন্ধে এজেন্সির দুর্ব্যবহার, এর জেরে বীতশ্রদ্ধ দেশবাসী। যার প্রভাব দেখা যাচ্ছে এই সমীক্ষায়।

এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে বিরোধীদের বক্তব্য, লোকসভা ভোট এখনও ১৫ মাস বাকি। ভোট যত এগিয়ে আসবে সরকার বিরোধী ক্ষোভ তত বাড়বে। আর সেটাকে বিজেপির বিরুদ্ধে কাজে লাগানো যাবে। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ হবে অন্যান্য দলগুলি। যদি বিজেপি বিরোধী সব দলকে একত্রিত করে যোগ্য কাউকে নেতা হিসাবে মোদির সামনে দাঁড় করানো যায়, তাহলে চাপে পড়তে পারে বিজেপি।

Previous articleবিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতিতে গ্রেফতার সাকেতকে আইনি সাহায্য দেবে তৃণমূল
Next articleএই ধরনের নাটক রাজ্যপালের শোভা পায় না, হাতেখড়ি নিয়ে ফের রাজ্যপালকে কটাক্ষ দিলীপের