বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতিতে গ্রেফতার সাকেতকে আইনি সাহায্য দেবে তৃণমূল

গুজরাট পুলিশের পর এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি(ED)। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের(Saket Gokhle) বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের(BJP Govt) রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থামছে না কোনওভাবেই। গোখলের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে বুধবার গুজরাটের জেল থেকেই সাকেতকে গ্রেফতার করে ইডি। এহেন পরিস্থিতির মাঝে সাকেতের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।

ইডির অভিযোগ ‘ক্রাউডফান্ডিং’-এর মাধ্যমে বিপুল অর্থ তুলেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলে। আর সেই টাকা মদ্যপান ও শেয়ার কেনাবেচায় খরচ করেছেন তিনি। যদিও ইডির অভিযোগকে পুরোপুরি ভুয়ো বলে মনে করছে তৃণমূল। এবং শুধুমাত্র বিরোধী দলের নেতাদের নিশানা করে গোটাটাই প্রতিহিংসার রাজনীতি। যার জেরেই সাকেতের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে আইনি সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দল। তৃণমূল সূত্রের খবর, এনসিপি থেকে কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়া দুঁদে আইনজীবী মজিদ মেমন ও সত্য মোহান্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাকেতকে আইনি সাহায্য দেওয়ার জন্য। গুজরাত পুলিশ দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যে ভাবে বঙ্গভবনে ঢুকে সাকেতকে গ্রেফতার করেছে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করেছে, তার বিরুদ্ধে রাজ্য প্রশাসন দিল্লি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। বঙ্গভবনের নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিশের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে সাকেতকে গুজরাত পুলিশ দু’বার ভুয়ো খবর ছড়ানোর মতো অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। যদিও আদালতের তরফে জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন সাকেত। শুধুতাই নয় গুজরাট পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশকে ভর্তসনা করেন বিচারক। এরপর ফের তাঁকে গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার গ্রেফতারিতে তিনি যে ফের জামিন পেয়ে যাবেন বুঝতে পেরেই এবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্যোগে ইডিকে ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযোগ বিরোধীদের। প্রসঙ্গত, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ইডি-র হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাকেতকে।

Previous articleবর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেলেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার ন্যাট সিভার
Next articleএখনই লোকসভা ভোট হলে বহু আসন কমবে NDA’র, প্রধানমন্ত্রী মুখে এগিয়ে মমতা