‘সুপ্রিম রায়’ মানতে বাধ্য! কলেজিয়াম বিতর্কে রিজিজু-ধনখড়কে কটাক্ষ প্রাক্তন বিচারপতির  

দিন যত গড়াচ্ছে কলেজিয়াম (Collegium) বিতর্কের পারদ ততই চড়ছে। বিচারপতি (Justice) নিয়োগ ইস্যুতে কেন্দ্র এবং সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) মধ্যে কার্যত বিবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিকবার কলেজিয়াম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijihu)। কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের যে পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তাতে আপত্তি জানিয়ে একাধিকবার বয়ান দিয়েছে কেন্দ্র। এবার সেই ইস্যুতেই উপরাষ্ট্রপতিকে নাম না করে কটাক্ষ করলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রোহিংটন ফালি নরিম্যান (Ex Justice Rohington Nariman)। তবে শুধু জগদীপ ধনখড়ই নন, প্রাক্তন সুপ্রিম বিচারপতির কটাক্ষের তালিকা থেকে বাদ যাননি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও।

সম্প্রতি এক জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি। সেখানেই সাম্প্রতিক বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। সাফ জানিয়ে দেন, শীর্ষ আদালতের রায় তাঁরা মানতে বাধ্য, তা ঠিক বা ভুল যাই মনে হোক না কেন। সুপ্রিম কোর্টের অভিযোগ, কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঢিলেমি করছে কেন্দ্র। বিচারবিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। এরপরই নরিম্যান বলেন, আমরা শুনেছি কলেজিয়াম পদ্ধতির বিরুদ্ধে আইনমন্ত্রী কী ধরনের আপত্তিকর কথা বলেছেন। এরপরই তিনি জানান, একজন নাগরিক হিসেবে আমি সমালোচনা করতে পারি। কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আমি এখন শুধুই নাগরিক। আপনি কর্তৃপক্ষ। আর কর্তৃপক্ষ হিসেবে আপনি রায় মেনে নিতে বাধ্য, সেটা ভুল হোক বা ঠিক।

তবে শুধু কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীই নন, এদিন প্রাক্তন সুপ্রিম বিচারপতি নাম না করে খোঁচা দেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়কেও। নরিম্যান বলেন, ওই পরিকাঠামোই কিন্তু বজায় থাকবে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, এটা বজায় থাকছে। পাশাপাশি কেন্দ্র যেভাবে কলেজিয়ামের সুপারিশগুলির বিবেচনায় বিলম্ব করছে, সেটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। এরপরই তিনি প্রস্তাব দেন, এবার থেকে এই বিষয়ে ৩০ দিনের ডেডলাইনকে বিবেচনা করা হোক। তার মধ্যে সাড়া না দিলে নিজে নিজেই সেই সুপারিশগুলি গৃহীত হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই জগদীপ ধনখড় কলেজিয়াম বিতর্ক নিয়ে অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট সংসদ ভবনকে অবজ্ঞা করেছে। আর সংসদকে অবজ্ঞা করা মানে মানুষের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করা। আর সেই ইস্যুতেই উপরাষ্ট্রপতিকে একহাত নিলেন তিনি।

 

 

Previous articleশিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় শনি ও রবিবার বাতিল একাধিক ট্রেন, কারণ কী ?
Next articleবর্ধমানে আসছেন ক্রিস গেইল! উন্মাদনা তুঙ্গে