মোদির তথ্যচিত্র প্রদর্শন মুম্বইয়ের টাটার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও! বি*ক্ষোভ বিজেপির

হুঁশিয়ারি দিয়েছিল শাসক দল বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিআইএসএস)-এর পড়ুয়ারা দেখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে তৈরি বিবিসি-র তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’।আর তাতেই ক্যাম্পাসের বাইরে শুরু হয় বিজেপির বিক্ষোভ।

আরও পড়ুন:অমর্ত্যকে আক্রমণ ‘বাংলার লজ্জা’, কিছু বাঙালি গুজরাটের তল্পিবাহক: তোপ অভিষেকের

শনিবার রাতে টিআইএসএস-এর ক্যাম্পাসের ভিতরে যখন পড়ুয়ারা নিজেদের মোবাইল এবং ল্যাপটপে তথ্যচিত্র দেখার তোড়জোড় করছিলেন, সে সময় বাইরে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি এবং বিজেপির যুব সংগঠন বিজেওয়াইএমের সদস্যেরা বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয় টিআইএসএস-এর ক্যাম্পাস চত্বরে।পরে পুলিশ প্রশাসন বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে ক্যাম্পাসের অন্দরে বড় স্ক্রিনে প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে না। শেষে শান্ত হন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা মুম্বইয়ের বিজেপি নেতা। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘’টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিআইএসএস) বিবিসির মিথ্যা তথ্যচিত্র দেখিয়ে মুম্বই এবং মহারাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। পুলিশের উচিত অবিলম্বে এটি নিষিদ্ধ করা। না হলে আমরা যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সেটাই নেব! টিআইএসএস-এর এই ব্যবসা বন্ধ করা উচিত!’’

প্রসঙ্গত, ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ বিবিসির এই তথ্যচিত্র নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি কেন্দ্রের। এক ঘণ্টার তথ্যচিত্রটিতে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে গোধরাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি। যদিও বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার কেন্দ্রের তরফে ইউটিউব এবং টুইটারকে বিবিসি-র তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সমাজমাধ্যম থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়।

 

Previous articleঅন্ধকারের উৎস হতে, উৎপল সিনহার কলম
Next articleভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান,মৃ*ত কমপক্ষে ৭, আ*হত বহু