শেষপর্যন্ত হদিশ পাওয়া গেল গোপাল দলপতির।সোমবার ইডি দফতরে নিজেই ফোন করলেন গোপাল।জানা গিয়েছে, দুপুর নাগাদ তিনি নিজেই ফোন করেন ইডি দফতরে।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের কোষাগারে মুনাফার অঙ্ক বাড়াতে রেশনে “গরিবের চাল-গম” বন্ধ করল মোদি সরকার
নিয়োগ দুর্নীতিতে তার দিকে বিপুল দুর্নীতির নিশানা। সেই গোপাল দলপতিই রহস্যজনক ভাবে উধাও হওয়ার খবর মিলেছিল। তিহার জেলে গিয়ে তাকে জেরা করার প্রস্তুতি নেয় ইডি। কিন্তু তিহার জেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় এক বছর আগেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন গোপাল। তারপর থেকেই তিনি বেপাত্তা !
কুন্তল ঘোষের অভিযোগ মানতে চাননি গোপাল দলপতি। তাঁকে আগামীকাল ইডি-র দফতরে আসতে বলা হয়েছে। সকাল সাড়ে দশটায় ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । বয়ান রেকর্ডের পাশাপাশি তাকে কুন্তলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এরই পাশাপাশি কুন্তল ঘোষের মোবাইলেও মিলেছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা-সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। ডিলিট করা মেসেজও সাইবার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।এমনকী, কুন্তলের বাড়ি থেকে এবার ওএমআর শিট বাজেয়াপ্ত করল ইডি। তার মধ্যে ৩০টি ওএমআর শিট ২০২২ সালের। বেশ কিছু পুরনো ওএমআর শিটও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ‘আরটিআই-এর মাধ্যমে পেয়েছেন ওএমআর শিট’, জেরার মুখে দাবি করেন কুন্তল ঘোষ। কেন আরটিআই করেছিলেন, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কুন্তল। আরটিআই করার কোনও প্রমাণও দেখাতে পারেননি।
কী করে কুন্তলের কাছে গেল ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড?’ প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ‘কুন্তলের বাড়ি থেকে পাওযা গিয়েছে ১৮৯টি ওএমআর শিট’, আদালতে জানালেন পর্ষদের আইনজীবী।