বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়ে শেষ হল ‘গ্লোবাল ট্রেড এক্সপো ২০২৩’

সেই সব পর্যটন কেন্দ্রে বিনিয়োগ করলে শিল্পপতিরা যে লাভের মুখ দেখবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় ।

গত ২৫ জানুয়ারি থেকে বিশ্ব বাংলা মেলা বা মিলনমেলা প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছিল ‘গ্লোবাল ট্রেড এক্সপো ২০২৩’। শেষ হল ২৯ জানুয়ারি।

এ বার শিল্প মেলার আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম। এই মেলায় অংশ নেয় একাধিক বণিকসভা এবং বেসরকারি শিল্প সংস্থা। নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের বণিক মহলের সঙ্গে ১৫টি দেশের প্রতিনিধি এবং বণিক মহলের সদস্যরা এই এক্সপোতে যোগ দিয়েছিলেন। শিল্প দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে থাকা বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিকেও এই পাঁচদিনের বাণিজ্য সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। সেই সব পর্যটন কেন্দ্রে বিনিয়োগ করলে শিল্পপতিরা যে লাভের মুখ দেখবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় ।
রবিবার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কনফেডারেশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশীল পোদ্দার প্রমুখ বিশিষ্টরা। এদিন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখার পাশাপাশি বলেন, রাজ্য সরকারের পরিকাঠামগত যাবতীয় বিষয় এই শিল্প সম্মেলনে তুলে ধরা হয়েছে। রাজ্যের পরিবহণ, শিল্পবান্ধব পরিবেশ, শিল্প প্রকল্প রূপায়ণে সরকারি সহায়তা-সহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এই মেলায়। এবং বৃহৎ থেকে শুরু করে, ছোট শিল্প স্থাপনে রাজ্য সরকার যে প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে তা ১৫টি দেশের বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরেছেন শিল্পোন্নয়ন নিগমের কর্তারা।CWBTA এর সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, এই মেলার উদ্দেশ হল রাজ্যে খুচরো ব্যবসার ক্ষেত্রে বিনোয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি করা।
তিনি আরও বলেন, BGTE যাত্রা এক বছর পূর্ণ করেছে। প্রায় ২৮টি সেক্টর কভার করে প্রায় ৫০০টি স্টল সহ এই বছরের এক্সপোটি আরও বড় এবং প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের ৩০০ টিরও বেশি প্লেসমেন্টের সুযোগ দিয়েছে। এই ধরনের একটি ট্রেড এক্সপো ছোট বা বড় ব্যবসার জন্য একটি বিশাল সম্প্রসারণের সুযোগ প্রদান করে। আমরা ট্রেডিং ভ্যালু চেইন এবং বাজারের সুযোগ উন্নত করতে চাই। একে অপরের সাথে নিজেদেরকে পুনরায় পরিচয় করিয়ে দিতে এবং নতুন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেভিগেট করার ক্ষেত্রে এটি আমাদের সকলের জন্য একটি আরও উপকারী পদক্ষেপ ।”
অন্যান্য শিল্পের পাশাপাশি এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় পর্যটন শিল্পে। রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে তুলে ধরা হয় বিনিয়োগকারী কাছে। ওই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বিনিয়োগ করলে কী ভাবে লাভের মুখ দেখবেন বিনিয়োগকারীরা, তাও আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

 

Previous articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleআগুয়েরো চান, মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলুন, আদৌ সম্ভব?