CBI কর্তাদের সম্পত্তির হিসেব তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, প্রয়োজনে চিঠি প্রধানমন্ত্রীকেও

বৃহস্পতিবার, সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পাশাপাশি তিনি সাফ জানান, এরপরও তাঁরা যদি সতর্ক হয়ে কাজ না করেন তা হলে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি চিঠিও লিখবেন।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। এবার রাজ্যে তদন্তকারী প্রত্যেক সিবিআই আধিকারিকের সম্পত্তির (Property) হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একেবারে অন্য মেজাজে ধরা দিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির (Primary Recruitment Scam) তদন্তে সিবিআই-ইডি তথা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মৃদুমন্থর গতি নিয়ে এর আগেও একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আর বৃহস্পতিবার, সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব (CBI Officer Property) চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পাশাপাশি তিনি সাফ জানান, এরপরও তাঁরা যদি সতর্ক হয়ে কাজ না করেন তা হলে প্রধানমন্ত্রীকে (Prime Minister) তিনি চিঠিও লিখবেন। এরপর আগামী সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগেও দু-দুবার সিবিআই সিট ভেঙে দিয়েছিলেন বিচারপতি। তারপরেও একই অবস্থা। তা নিয়েই বেজায় ক্ষুব্দ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকায় তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে হুশিয়ারির সুরে বিচারপতি বলেন, সিবিআই কল্পনাও করতে পারছে না তাদের সামনে কতটা খারাপ দিন আসতে চলেছে। পাশাপাশি বিচারপতি জানিয়েছেন, সিবিআই-ইডি আধিকারিকরাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নন। উল্লেখ্য, সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের আওতায় পড়ে। সেই কারণেই সিবিআইয়ের কার্যকলাপ নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখার কথা এদিন জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি।

বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত সিবিআই আইনজীবীকে একের পর এক প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন বিচারপতি। তদন্তে গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপনারা কী ইয়ার্কি মারছেন? সোমনাথ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করা উচিত। এরপরই সোমনাথ বিশ্বাসের (Somnath Bishwas) পাশাপাশি সিবিআইয়ের সমস্ত তদন্তকারী অফিসারেরই সম্পত্তির হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি ইংল্যান্ডের তদন্তকারী সংস্থা এমআই-৫ (MI 5) এর উপর ভরসা রাখার কথা বলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

 

 

Previous articleকেন্দ্রীয় বাজেটে বেকারদের কথা নেই! বাংলায় ভবিষ্যতে বিপুল কর্মসংস্থান: আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleসংশোধনাগারে বন্দির অস্বাভাবিক মৃ*ত্যু! শুরু তদন্ত