বাজেটের পরই উত্তাল সংসদ, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সরব বিরোধীরা

আদানি গোষ্ঠীর FPO বন্ধের ঘটনায় বাজেটের পরদিনই উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ(Parliament)। আদানি ইস্যুতে তদন্তের দাবিতে সংসদের দুই কক্ষে সরব হলেন বিরোধী সাংসদরা। যৌথ সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) নজরদারিতে তদন্তের দাবি তোলেন বিরোধীরা(Opposition)। বিক্ষোভের জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সংসদে বিরোধী রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস। যেখানে উপস্থিত ছিল তৃণমূল, সিপিএম, সিপিআই, ডিএমকে, সপা, জেডিইউ, শিবসেনা, এনসিপিও। তৃণমূলের তরফে বৈঠকে হাজির ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সংসদে আদানি ইস্যুতে সরব হবেন বিরোধীরা। সেইমতো এদিন সংসদে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘হয় যৌথ সংসদীয় কমিটি বানিয়ে গোটা বিষয়টির তদন্ত করা হোক, নয়তো সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি বানিয়ে তদন্ত করুন। শুধু তাই নয়। প্রত্যেক দিনের রিপোর্ট পেশ করতে হবে।’ সমাজবাদী পার্টির তরফে দাবি তোলা হয়, দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে যাঁরা ব্যাঙ্ক বা এলআইসিতে টাকা রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এমনকি স্টেট অফ ইন্ডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানও টাকা তুলতে আসা গ্রাহকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ সমাজবাদী পার্টির। তাদের দাবি, এসবিআইয়ের এসব ক্ষেত্রে যুক্তি, পরে আসতে বলে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। বিরোধীদের প্রশ্ন, এখনও পর্যন্ত লোকে ব্যাঙ্ককেই টাকা রাখার ব্যাপারে সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে করত। কিন্তু এর পর কী হবে? তাই গোটা বিষয়টির তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। খাড়গে সহ বাকি দলের নেতাদের পাশে দাঁড়ান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনও।

উল্লেখ্য, আমেরিকার গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের (Hindenburg Research) একটি রিপোর্টে সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়। এরপরই শেয়ার বাজারে ব্যাপকভাবে পড়তে শুরু করে আদানি গোষ্ঠী। এরইমাঝে বাজেট পেশের দিনই ২০ হাজার কোটির ফলো অন পাবলিক অফার বা FPO তুলে নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। বর্তমানে বাজারের যা পরিস্থিতি, তাতে FPO নিয়ে এগনো নৈতিক ভাবে সঠিক নয় বলে জানিয়েছে তারা। আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে, বাজেটের দিন যদিও তাদের FPO সফল ভাবেই ক্লোজ করা হয়েছে, কিন্তু বাজারে যে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তাতে শেয়ার বাজারে তাদেরও দর ওঠানামা করেছে। তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। এসব কিছুর মাঝেই আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং কারচুপির অভিযোগের তদন্তের দাবিতে সরব হল বিরোধীরা।

Previous articleযোগীরাজ্যে ২৮ মাস পরে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন সাংবাদিক
Next articleওয়েবসাইটে ভুয়ো বিজ্ঞাপন! বিপাকে ওয়েব ডিজাইনার, মুশকিল আসান কলকাতা পুলিশের