কেন্দ্রের দেওয়া চ্যালেঞ্জের মোক্ষম জবাব! আবাস যোজনায় বড় সাফল্য বাংলার

জ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্যে মোট ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির জন্য ৩১ জানুয়ারির মধ্যে অনুমোদন দেওয়ার কথা ছিল। তারমধ্যে ১১ লক্ষের বেশি বাড়ির অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিজেপি শাসিত বহু রাজ্যকে পিছনে ফেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবাস যোজনায় (Awas Yojna) লক্ষ্যমাত্রার সিংহভাগ বাড়ি তৈরির অনুমোদন রাজ্যের। আবাস যোজনায় রাজ্যের বরাদ্দ কোটার ৯৭ শতাংশেরও বেশি বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার (Pradip Majumder) জানিয়েছেন, রাজ্যে মোট ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির জন্য ৩১ জানুয়ারির মধ্যে অনুমোদন দেওয়ার কথা ছিল। তারমধ্যে ১১ লক্ষের বেশি বাড়ির অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, বাকি যে বাড়ি গুলির অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি সেখানে আবেদনকারীদের জমি নেই বলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। যদিও তাঁদের ক্ষেত্রে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনুমোদনের সময় রয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। সরকার সেই সব আবেদনকারিদের জমি ও সেই সংক্রান্ত নথির সংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে।

পাশাপাশি নবান্নের (Nabanna) তরফে জানানো হয়েছে, শেষ সাত দিনে পঞ্চায়েত দফতরের তরফে ১২ হাজারেরও বেশি বাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যাঁদের পদ্ধতিগত সমস্যার জন্য অনুমোদন আটকে ছিল সরকারের নির্দেশে পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকরা তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমস‌্যার সমাধান করে দিয়েছেন। সরকারি সূত্রে খবর, কেরল, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের মতো কয়েকটি রাজ্য আবাস যোজনায় নিজেদের কোটা ১০০ শতাংশ পূরণ করেছে। তবে সবথেকে বেশি বাড়ির অনুমোদন বাকি রয়েছে বিহারে। তারপরেই রয়েছে কর্নাটক, গুজরাট, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ এবং অসমের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্য।

উল্লেখ্য, আবাস যোজনার বরাদ্দ টাকা শুধু আটকে রাখাই নয় রাজ্য সরকার যাতে কোনও ভাবেই আবাস যোজনায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারে সেই চেষ্টার কোনও কসুর করেনি বিজেপি। আবাসের কাজ পরিদর্শনে দল পাঠিয়ে রাজ্যকে চাপে রাখার চেষ্টার পাশাপাশি নানা কঠিন শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়। যার মধ্যে অন্যতম একেবারে শেষ মূহুর্তে ১১ লক্ষের বেশি বাড়ি অনুমোদন। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বাড়িগুলোর অনুমোদনের কাজ শেষ করতে হবে।

নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, রাজ্যের যে ৩ শতাংশ অনুমোদন বাকি, তাঁদের বেশিরভাগের জমি নেই। সেই জমির সংস্থান সরকার করে তার কাগজপত্র ৩১ মার্চের মধ্যে জমা করলে সেগুলোও অনুমোদন পেয়ে যাবে।

 

 

Previous articleফের মালদহে উদ্ধার ৩৩ লক্ষ নগদ, শ্যালকের টাকা রেখে জালে ২ ভগ্নিপতি
Next articleউনি সাক্ষী হোন, বইমেলায় প্রকাশ হোক “অভিজিৎ রচনাবলী”, বিচারপতিকে বেনজির আ*ক্রমণ কুণালের