Saturday, December 20, 2025

জলপাইগুড়িতে প্রাক্তন সহকর্মীর বাড়িতে রাজ্যপাল! ৪৬ বছর পর ভাসলেন আবেগে

Date:

Share post:

পূর্বনির্ধারিত কোনও সূচি ছাড়াই পুরোনো বন্ধু তথা সহকর্মীর বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose)। বড় রাস্তায় গাড়ি রেখে, সরু গলি দিয়ে পায়ে হেঁটে বন্ধুর বাড়িতে ঢুকলেন। আর ঢুকেই উঠোনে দাঁড়ানো বন্ধুকে দেখে জড়িয়েও ধরলেন। একতা যাত্রার মাঝে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আচমকা জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সহকর্মীর বাড়িতে হাজির হলেন রাজ্যপাল। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের চার নম্বর ঘুমটি এলাকার বাসিন্দা অশোককুমার রায়চৌধুরী (Ashok Kumar Roychoudhury)। আর তাঁর বাড়িতেই আচমকা হাজির রাজ্যপাল।

অশোককুমার রায়চৌধুরীর সঙ্গে রাজ্যপালের বন্ধুত্ব হয় ১৯৭৭ সালে। তখন তিনি স্টেট ব্যাঙ্কের জলপাইগুড়ি শাখায় শিক্ষনাবিশ আধিকারিক হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। অশোক ছিলেন করণিক। তবে পুরনো সম্পর্ক তিনি ভুলে যাননি। এরপর রাজ্যপাল হয়ে বাংলায় আসার পর সি ভি আনন্দ বোস অশোকের নম্বর খুঁজে যোগাযোগ করেছিলেন। এদিন অশোক বলেন, তাই বলে আমার সঙ্গে দেখা করতে একেবারে বাড়িতে চলে আসবেন, ভাবতেই পারিনি। কত জনের সঙ্গে কত সম্পর্ক ছিল, তাঁদের অনেকেই মনে রাখেননি। কিন্তু রাজ্যপালের পদে আসীন হয়েও, তিনি আমার বাড়িতে এসেছেন, এ অনুভূতি প্রকাশের কোনও উপায় নেই!

 

তবে প্রাক্তন সহকর্মীকে সামনে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি এদিন অশোকবাবুর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান আনন্দ বোস। কর্মজীবনের সেই সময়ের স্মৃতিচারণায় মেতে ওঠেন দু’জন। উল্লেখ্য, আত্মজীবনী লিখেছেন রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোস। তাতে জলপাইগুড়ির কথা উল্লেখ রয়েছে। সেই কথা তৎকালীন সহকর্মী অশোককুমার রায়চৌধুরীকে জানান তিনি। এদিন নিজের লেখা বই-সহ নানা উপহার অশোককে দিয়েছেন রাজ্যপাল। অশোকও রাজ্যপালকে শাল উপহার দিয়েছেন। এদিন রাজ্যপাল অশোকের কাছে জলপাইগুড়ি নামের উৎস জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি জঙ্গলের কথা শুনতে চেয়েছেন, জেলায় কী ধরনের চাল হয় তা বুঝতে কৌটো থেকে চাল হাতে নিয়েও দেখেছেন।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, রায়চৌধুরী খুব ভাল শিক্ষক ছিলেন। তাঁর কাছেই আমি ব্যাংকিং শিখেছি। পশ্চিমবঙ্গে জলপাইগুড়ি ছিল আমার কর্মক্ষেত্র। সেই সময়ের অনেক স্মৃতি এখনও মনে রয়েছে। অশোককুমার রায়চৌধুরী বলেন, সেই সময় করণিক হিসেবে ব্যাংকে কর্মরত ছিলাম আমি। খুবই মেধাবী একজন কর্মী ছিলেন আজকের রাজ্যপাল। খুব তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারতেন। খুব ভাল লাগছে এতো বড় একজন মানুষ হয়েও সেদিনের কথা ভোলেননি।

 

 

spot_img

Related articles

মুজিবের বাড়ির উপর ISIS পতাকা! সাংবাদিকদের রক্ষার বার্তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের

একের পর এক সংবাদপত্রের দফতরে আগুন। সাংবাদিক হত্যা। বাংলাদেশে বাক-স্বাধীনতার নিকৃষ্টতম নজির রচিত হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। এবার বাংলাদেশ...

বাংলায় হিংসা ছড়াচ্ছে অমিত মালব্য: পুলিশের দ্বারস্থ তৃণমূল

প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে কোনও রকম অশান্তি হলে তার আঁচ সবার আগে পড়ে বাংলায়। সেই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে...

শীতের শহরে ম্যারাথনের উত্তাপ, ভারতীয় সংস্কৃতিতে মজে অলিম্পিক্স পদকজয়ী দৌড়বিদ

শীতের শহরে ম্যারাথনের উত্তাপ। রবিবার ভোরে কলকাতার রাজপথে ম্যারাথনে (World 25K Kolkata)অংশ নেবেন বিশ্বের খ্যতনামা রানাররা। ইতিমধ্যেই শহরে...

হার্দিক-বরুণের দাপটে স্বস্তির জয়, চিন্তা বজায় রাখলেন সূর্য

শনিবার টি২০  বিশ্বকাপের(T20 World Cup) দল ঘোষণা। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি২০(T20) সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া। আহমেদাবাদে...