বাংলার তাঁতশিল্পে ফিরছে সুদিন! রাজ্যের উদ্যোগে আসছে নয়া পোর্টাল

মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের জন্য আলাদা একটি ক্রয়-বিক্রয় পোর্টাল চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পোর্টালে রাজ্যের হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্রেতাদেরও রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তাঁত শিল্পের (Textile Industry) উন্নতিতে আরও তৎপর হল রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। এবার থেকে হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের জন্য একেবারে আলাদা একটি ক্রয়-বিক্রয় পোর্টাল (Portal) নিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, তাঁত শিল্পের উন্নতিতে কী ভাবে এই শিল্পের সঙ্গে হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের বিকাশ ঘটানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পান্ডে সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদ্বী। সেই বৈঠকেই হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের জন্য একটি পৃথক পোর্টাল বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের জন্য আলাদা একটি ক্রয়-বিক্রয় পোর্টাল চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পোর্টালে রাজ্যের হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্রেতাদেরও রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পোর্টালের মাধ্যমেই সরাসরি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে উঠবে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে এর ফলে মিডলম্যানদের উপদ্রপ কমবে এবং তাঁতশিল্পীরা সরাসরি লাভের অঙ্ক পাবেন। পাশাপাশি এই পোর্টালে থাকবেন তাঁত শিল্পী, সম্ভাব্য ক্রেতা এবং বিভিন্ন ক্রেতা সংস্থা।

বৈঠকের পর মুখ্যসচিব (Chief Secretary) জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার তাঁত শিল্পীদের ক্লাস্টার তৈরির বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, মাইক্রো প্ল্যানিং করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের তাঁত শিল্পীদের মধ্যে প্রায় ৪৮ হাজার জন ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া গিয়েছে মাত্র ১২ হাজার শিল্পীকে। বাকি আবেদনগুলিও যাতে দ্রুত অনুমোদন করা যায় সেই কারণে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে জেলা প্রশাসনকে কথা বলতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। বৈঠকের পরই হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী টার্গেট বেঁধে দিয়ে বলেন, চলতি অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগে অন্তত আড়াই লক্ষ ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থা যাতে ঋণ পান সেদিকে নজর দিতে হবে। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, শিল্পীরা ঋণ পেলে তাঁতশিল্পে বিনিয়োগ বাড়বে। ফলে শিল্পীরা আরও উপকৃত হবেন।

 

 

Previous articleউচ্চশিক্ষায় বিশেষ অবদান, মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের
Next articleবইমেলার প্রথম রবিবারে উপচে পড়া ভিড়, জমজমাট ছোটদের প্যাভিলিয়ন