ফিরল ৩৯-এর ভয়া*বহ স্মৃতি! মৃ*ত্যুপুরী তুরস্কে শুধুই স্বজনহারার হাহাকার

তবে শুধু একটিই নয়, প্রথম কম্পনটির ১৫ মিনিট পরেই আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৭। আর পরপর দুবারের ধাক্কায় রীতিমতো বেসামাল অবস্থা হয় সিরিয়া ও তুরস্কের।

মাঝে কেটে গিয়েছে প্রায় ৮৩টি বছর। ১৯৩৯ সালের পর ফের মৃত্যুপুরীর চেহারা নিল তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়া (Syria)। তবে সেই বছর ভূমিকম্প (Earthquake) ভয়াবহতার চেহারা নিলেও এতটা ভয়ানক অবস্থা বোধ হয় সেইসময়ও হয়নি। ভূমিকম্পের ফলে প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়া। উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক মৃতদেহ। কোনও পরিবারে এমন অবস্থা যে কান্না বা শোকপ্রকাশের জন্য কোনও সদস্যই আর অবশিষ্ট নেই। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ১৩০০ ছুঁয়েছে। এখনও লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তখনও ঠিকমতো ভোরের আলো ফোটেনি। ঘুমে আচ্ছন্ন গোটা তুরস্ক। কিন্তু তারমধ্যেই আচমকা কম্পন।

সোমবার ভোর ৪টে ১৭ মিনিট নাগাদ প্রথমবার কেঁপে ওঠে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের একাধিক এলাকা। এরপরই আলো ফোটার আগে ধীরেধীরে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ সামনে আসতে শুরু করে। আর বেলা বাড়তেই দুই প্রতিবেশী দেশে দেখা যায় মৃত্যুমিছিল। হাহাহার পড়ে যায় গোটা দেশে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। তুরস্কের দক্ষিণ পূর্বের ওসমানিয়া প্রদেশের গাজিয়ানটেপ এলাকায় প্রথমবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যা স্থায়ী হয় ৪০ সেকেন্ড। কম্পনের উৎস ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৩ কিলোমিটার গভীরে। তবে শুধু একটিই নয়, প্রথম কম্পনটির ১৫ মিনিট পরেই আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৭। আর পরপর দুবারের ধাক্কায় রীতিমতো বেসামাল অবস্থা হয় সিরিয়া ও তুরস্কের। তবে স্থানীয় সংবাদ সূত্রে খবর তুরস্কের থেকেও বেশি প্রাণহানি হয়েছে সিরিয়ায়। আলেপ্পো, হামা এবং টার্টাসেও প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। দুই দেশ মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বিপর্যয়ের পর তুরস্কের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। যত দ্রুত সম্ভব সেখানে উদ্ধারকারী এবং মেডিক্যাল দল পাঠানোর চেষ্টা করছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। পাঠানো হচ্ছে ত্রানসামগ্রীও।

বিগত ২৫ বছরে তুরস্কে একাধিকবার ভূমিকম্প হয়েছে। তবে সোমবারের ভূমিকম্পে কার্যত বেসামাল অবস্থা তুরস্ক ও সিরিয়ার। আর চরম বিপর্যয়ের মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিয়ো ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, তীব্র কম্পনের ফলে প্রচুর বাড়িঘর ভেঙে পড়ছে। এরপরই প্রাণ বাঁচানোর আশায় ছোটাছুটি শুরু করেন স্থানীয়রা। দমকলকর্মীরা আপদকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। তবে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি ইতিমধ্যে হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পে ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হলেও বিগত কয়েক বছরে এমন ভয়াবহ ছবি দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে শুধু অপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

 

 

Previous articleপরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
Next articleমানিকের আর্থিক জরিমানা বহাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও