দৃষ্টান্ত স্থাপন! নন্দিনীদের মন্ত্রোচ্চারণে নতুন জীবন শুরু পৌলমী-সঞ্জীবের

মহিলা পুরোহিতদের প্রধান নন্দিনী জানান, কলকাতার মধ্যে মানুষজনের কাছে তারা পৌঁছেছেন আগেই। যখন শহরতলী থেকে তাঁরা বিয়ে দেওয়ার জন্য ডাক পান, তখন আরো বেশি ভালো লাগে।

সুমন করাতি, হুগলি

চিরাচরিত প্রথাকে দূরে সরিয়ে বিবাহ বন্ধনে (Marriage) আবদ্ধ হলেন হুগলির (Hoogly) বাসিন্দা পৌলমী ও সঞ্জীব। বর্তমান সমাজে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন যারা তাঁদের মন্ত্রোচ্চারণেই সাত পাক ঘুরলেন হুগলির এই যুগল। চার মহিলা পুরোহিতদের (Female Priest) উপস্থিতিতে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন পৌলমী ও সঞ্জীব। এদিন রবি ঠাকুরের গানে ও বেদ মন্ত্র উচ্চারণে মুখরিত হয়ে ওঠে বিবাহ মণ্ডপ। বিয়ের শেষে মহিলা পুরোহিতদের ঘিরে মানুষের উন্মাদনাও ছিল চোখে পড়ার মতো। কলকাতাতে এর আগে একাহিকবার হলেও জেলার মধ্যে এই প্রথম মহিলা পুরোহিতদের পৌরহিত্য দেখার জন্য বিয়ে বাড়িতে আসা নিমন্ত্রিতদের উৎসাহ-উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। পথ দেখিয়েছিল রুপোলি পর্দার রঙিন জগৎ। আর সেই রিলকেই রিয়েল লাইফে বাস্তবায়িত করার প্রক্রিয়া আগেভাগেই কলকাতার একাধিক জায়গায় শুরু হলেও জেলার মধ্যে এমন উদ্যোগ এই প্রথম।

হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা প্রদীপ কুমার মুখোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যা পৌলমীর বিয়ে উপলক্ষে এক বছর আগে থেকেই মহিলা পুরোহিতের দলকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। প্রদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, বর্তমান সময়ে পুরুষ এবং মহিলারা সকলেই সমান। তবে হিন্দু ব্রাহ্মণদের মধ্যে এখনও ‘ব্রাহ্মণ্যবাদ’ কিছুটা হলেও বর্তমান। সেকারণেই পুরুষরাই সমস্ত পূজার্চনার কাজে অগ্রাধিকার পান। তবে তিনি নিজে একজন ব্রাহ্মণ হলেও ব্রাহ্মণ্যবাদের এই পুরুষতন্ত্রিকতার বিরুদ্ধে। তাই নিজের মেয়ের বিয়েতেই শহরতলীর মানুষদের কাছে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য মহিলা পুরোহিতদের দিয়েই বিয়ের আয়োজন করেছেন তিনি।

পাশাপাশি মহিলা পুরোহিতদের প্রধান পুরোহিত নন্দিনী (Nandini) জানান, কলকাতার মধ্যে মানুষজনের কাছে তারা পৌঁছেছেন আগেই। যখন শহরতলী থেকে তাঁরা বিয়ে দেওয়ার জন্য ডাক পান, তখন আরো বেশি ভালো লাগে। নন্দিনী আরও জানান, তাঁরা কোনও রীতি ভাঙছেন না, বরং বৈদিক মন্ত্রের যে ব্যাখ্যা তা মানুষের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরছেন।

 

 

Previous articleআদানি ইস্যুতে সরগরম দিল্লি! এসবিআই সদর দফতরে পুলিশি বাধার মুখে তৃণমূল সাংসদরা
Next articleরেললাইনে ফাটল! অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচল বহু যাত্রীর