অমর্ত্যকে নোটিশ দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত ‘নাটক’ বিশ্বভারতী, প্রত্যাহার করেও ফের চিঠি!

অমর্ত্য সেনের বাড়ি গিয়ে তাঁর জমির সরকারি নথি দিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু তারপরেও নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে অপমান ও হেনস্থা করার পথ থেকে সরছেন না বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

ফের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) জমি নিয়ে নোটিশ (Notice) দেওয়া নিয়ে চড়ূন্তা নাটক করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Viswabharati University) কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার, প্রথমে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে নোটিশ দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা প্রত্যাহার করে নেয় তারা। এই বিষয়ে অবশ্য় বিশ্বভারতীর তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কিছুক্ষণ পরে জমির মাপা নিয়ে ফের একটি নোটিশ ধরানো হয় তাঁকে।

অমর্ত্য সেনের বাড়ি গিয়ে তাঁর জমির সরকারি নথি দিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু তারপরেও নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে অপমান ও হেনস্থা করার পথ থেকে সরছেন না বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)। নোটিশ পাঠানো নিয়ে রীতিমতো নাটকও করল বিশ্বভারতী। জমি নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে নোটিশ পাঠায় তারা। তার পরও তাঁকে জমি ছাড়ার নোটিশ দিয়ে চলেছে বিশ্বভারতী। প্রথম নোটিশের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেটি প্রত্যাহার করে নেয় তারা। ফের একটি নোটিশ দেয় বিশ্বভারতী।

বোলপুরে ‘প্রতীচী’তে অর্মত্য সেনের বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্বভারতীর তরফে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদদের উপর আপত্তিকর বিবৃতি দেওয়া হয়। তার কয়েকদিন পরে ফের জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনকে নোটিশ পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিতে ২ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যেই জমির সীমানা নির্দিষ্ট করার দিনক্ষণ জানতে চায় বিশ্বভারতী। যৌথভাবে জমি জরিপের কথাও বলা হয়েছিল নোটিশে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই নোটিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফের একটি নোটিশ দেওয়া হয়। তাতে ৯৯ বছরের লিজে দেওয়া জায়গার মাপজোক করতে চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সরকারি নথির উপর আস্থা রাখছেন না উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)। অমর্ত্যককে নিজস্ব সার্ভেয়ার বা উকিলকে সঙ্গে থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, অমর্ত্য সেনের সময় মতো দিন-তারিখ বা সময় অনুযায়ী দুটি দিনের অনুরোধ করা হয়েছে।

পাশাপাশি, জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ানে আরেক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য নিজেকে ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী’ বলতে চেয়েছেন। বাঙালি জাতিকে নিন্দুক বলে অভিহিত করে রবীন্দ্রনাথকে আশ্রয় করে বলেছেন, নিন্দুকেরা না থাকিলে জীবনের গৌরব থাকিত না। ওঁর দাবি, বেশ কিছু বিখ্যাত বাঙালি বিশ্বভারতীর জায়গা কব্জা করেছেন। উপাচার্যের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী জমি জরিপের কথা বলেননি। জরিপ হলেই সঠিক তথ্য প্রকাশ পাবে।

 

Previous articleবেনজির! মাধ্যমিকের তুলনায় রেকর্ড পরীক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিকে
Next articleদ্বিতীয় দিনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান মধ‍্যপ্রদেশের, বাংলা এগিয়ে ৩৮২ রানে