হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট(Hindenbarg Report) প্রকাশ্যে আসার পর শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধসের মুখে পড়েছে আদানি গ্রুপের একের পর একই শেয়ার। আদানি কাণ্ডে মামলাও দায়ের হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে(Supreme Court)। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হল সেবি(SEBI) ও কেন্দ্রের মোদি সরকারকে(Modi Govt)। আদালত জানতে চায়েছে শেয়ারবাজারে ধস নামার নেপথ্যে কারণ কী? পাশাপাশি হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
আদানি ইস্যুতে আইনজীবী এমএল শর্মা এবং বিশাল তিওয়ারির তরফে দায়ের মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত সেবি ও কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর কেন শেয়ার বাজারে ধস নামল? ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য কী ধরনের কঠোর নিয়মাবলি লাগু করা যেতে পারে? সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এদিন সলিসিটর জেনারেলকে নির্দেশ দেন, কেন্দ্র ও সেবির সঙ্গে পরামর্শ করে রিপোর্টটি তৈরি করতে হবে। সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনে কোনও বদল প্রয়োজন কি না, তা সুনিশ্চিত করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শেয়ার বাজারে লগ্নি করে মধ্যবিত্তদের একটি বড় অংশ। সে কথা মাথায় রেখে বাজার যাতে মসৃণ ভাবে চলে এবং লগ্নিকারীরা যাতে সুরক্ষিত থাকেন, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদানি ইস্যুতে সম্প্রতি দেশের শীর্ষ আদালতে দুটি আলাদা জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন দুই আইনজীবী। যেখানে দাবি করা হয়েছিল, অবিলম্বে তদন্ত শুরু করা হোক এই ঘটনার। একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হোক, যারা হিন্ডেনবার্গ সংস্থার (Hindenburg Group) অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবে। ৫০০ কোটি টাকার যে ঋণ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে, সেগুলিও খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। মামলাকারীর বক্তব্য, “অসংখ্য সাধারণ মানুষ যারা তাদের জীবনের সমস্ত পুঁজি এই ধরণের স্টক মার্কেটগুলিতে লাগিয়েছেন, তাঁদের কাছে এটা বড় ধাক্কা। এত টাকা সম্পূর্ণ জলে চলে গিয়েছে তাঁদের।” শুক্রবার ছিল এই মামলারই শুনানি।