মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন। এবার জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেলেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। রবিবার সকালে অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি প্রতীচিকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়।জমি বিতর্কের মধ্যে শান্তিনিকেতন ছেড়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন অমর্ত্য সেন। তাঁর সুরক্ষায় দেখা গেল জে়ড প্লাস নিরাপত্তা। এই প্রথম বার জেড প্লাস নিরাপত্তা বলয়ে দেখা গেল অর্থনীতিবিদকে।

এদিনই পুলিশি পাহারায় শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতা রওনা দেন তিনি। কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার কথা তাঁর। বুলেটপ্রুফ গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সড়কপথে তাঁর গাড়ির সঙ্গে ৮টি গাড়ির কনভয় দেখা যায়। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি ফের শান্তিনিকেতনে ফিরবেন তিনি।

জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে অমর্ত্য এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংঘাত চরমে উঠেছে। তার মধ্যেই গত ৩০ জানুয়ারি শান্তিনিকেতনে অধ্যাপক সেনের ‘প্রতীচী’র ঠিকানায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে জমি বিবাদে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তাঁর নিরাপত্তাও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মমতা নির্দেশ দিয়েছিলেন, অমর্ত্যকে এখন থেকে রাজ্যের তরফে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হবে।শনিবারই বিশ্বভারতীকে পাল্টা চিঠি পাঠান অমর্ত্য সেনের আইনজীবী। চিঠিতে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে।

আইনজীবীর চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব বিভাগের নথিতে ২৭০ সুরুল মৌজায় জেএল ১০৪-এর অধীনে ১.৩৮ একর এলাকা অমর্ত্য সেনের পূর্বসূরিদের লিজে দেওয়া হয়। ১.২৫ একর নয়, আদতে ১.৩৮ একর পৈতৃক জমি হিসাবে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে ভিত্তিহীন, কাল্পনিক অভিযোগ এনে বারবার মানহানি করা হচ্ছে।
