কলেজিয়ামের (Collegium) সুপারিশ মেনে গত শুক্রবারই বিচারপতিদের (Justice) নাম চূড়ান্ত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপ্রদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। আর তারপরই সোমবার বিচারপতি হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন এলাহবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল (Rajesh Bindal) ও গুজরাট হাইকোর্টের (Gujrat High Court) প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার (Aravind Kumar)। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (D Y Chandrachud) নতুন দুই বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান। উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু (Kiren Rijiju) এই দুই বিচারপতিদের নামে সিলমোহর দিয়েছিলেন। তবে বিচারপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে ওঠে। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত মেনেই বিচারপতি নিয়োগ করতে কার্যত বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)।
তবে শুধু এলাহবাদই নয়, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন রাজেশ বিন্দাল। উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই নতুন দুই বিচারপতির নাম প্রকাশ করা হয়। আর দু’দিন পরেই তাঁরা শপথ নিলেন। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে একসঙ্গে ৫ জন শপথ নিয়েছিলেন। আর সপ্তাহের প্রথম দিনেই শপথ নিলেন আরও দুই বিচারপতি। তবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে টালবাহানা কম হয়নি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই পাঁচ বিচারপতিকে নিয়োগের জন্য নাম সুপারিশ করে কলেজিয়াম কিন্তু এতে বাধ সাধেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। শুরু হয় বিরোধিতা।
তবে দীর্ঘ সংঘাতের পরেও কলেজিয়াম নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। টানা দু’মাসেরো বেশি সময় ধরে টালবাহানার পর কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই তাদের সুপারিশে সায় দেয় কেন্দ্র। তবে সোমবার তাঁরা শপথ নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে এখন সর্বোচ্চ ৩৪ বিচারপতির আসন পূর্ণ গেল।