নন্দীগ্রামে সাইকেলে চেপে জনসংযোগ কুণালের, শুভেন্দুকে ”ভেজাল হিন্দু” বলে কটাক্ষ

স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন কুণাল।তাঁর কথায়, শুভেন্দু এখন ভয়ে যে কোনও ছুতোয় নন্দীগ্রাম থেকে পালাতে চাইছে। মামলা শেষ হওয়া পর্যন্ত নন্দীগ্রামে থাকতে চাইছে না

*নন্দীগ্রামে সাইকেলে চেপে জনসংযোগ কুণালের, শুভেন্দুকে ”ভেজাল হিন্দু” বলে কটাক্ষ*নন্দীগ্রামের আস্থা তৃণমূলে। নন্দীগ্রাম মমতার সঙ্গে। নন্দীগ্রাম অভিষেকের পাশে। তৃণমূলের কর্মসূচিতে উপচে পড়া ভিড় আর মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান ফের সেটাই প্রমাণ করল। সাময়িক বিভ্রান্তি কাটিয়ে তৃণমূলেই যে আস্থা নন্দীগ্রামের সে ছবি স্পষ্ট।

মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের ভেকুটিয়া ও হরিপুর, দুটি সভাতেই দেখা গেল একই ছবি। প্রথম সভা ছিল ভেকুটিয়ার জেলেমারা গ্রামে। সভা ঘিরে স্থানীয় মানুষের মধ্যে তুমুল উৎসাহ। মহিলারাদের যোগদান ছিল নজর কাড়া। বাইক মিছিলে জনস্রোত। সাইকেলে চড়ে তাতে সামিল কুণাল ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন জেলার চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়া, নন্দীগ্রাম ব্লক-১-এর সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ-সহ অন্যান্যরা। এই সভাতেই বিজেপির মণ্ডল সভাপতির ভাই-সহ স্থানীয় বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে তৃণমূলে যোগদান করেন।

মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, দুটো সরকার চলছে। একটা কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা প্রতিদিনই মানুষের বেঁচে থাকা ক্রমশ কঠিন করে তুলছে। খাদ্য-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়েই চলেছে। বাড়ছে বেকারত্ব, জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া। এর পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার। প্রায় ৭৫টিরও বেশি জনমুখী প্রকল্প। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারে সরকার থেকে নিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো একের পর এক জনপ্রিয় প্রকল্প নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

এরই পরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন কুণাল।তাঁর কথায়, শুভেন্দু এখন ভয়ে যে কোনও ছুতোয় নন্দীগ্রাম থেকে পালাতে চাইছে। মামলা শেষ হওয়া পর্যন্ত নন্দীগ্রামে থাকতে চাইছে না। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের গ্রেফতার করানো হচ্ছে, হেনস্তা করা হচ্ছে। যারা এসব করছেন তাঁরা সতর্ক থাকুন। মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি, এসব বেশিদিন চলবে না। ধর্মের নামে রাজনীতিও চলবে না। যারা এসব করছেন তারা ভেজাল হিন্দু, তারা হিন্দুদেরও বন্ধু নয়, মুসলমানেরও বন্ধু নয়।

আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় শেষদিনের প্রচারে তারকাদের নামিয়ে ঝড় তুললো তৃণমূল

দ্বিতীয় সভা ছিল হরিপুরে। সেখানে বিজেপির মদতে স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে কয়েকজন মহিলা কুণালকে অভিযোগ জানান। কুণাল, বাপ্পাদিত্যরা তাঁদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, এর জন্য তৃণমূলের আইনজীবী টিম এখানে আসবে। তাঁদের অধিবেশন বসবে। এই নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুণালের আশ্বাসে হাততালিতে ফেটে পড়ে সভা। মহিলারা জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সব প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে থাকারও অঙ্গীকার করেন তাঁরা।

রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি স্থানীয় দাউদপুরে নজরুল মেলার উদ্বোধন করেন কুণাল ঘোষ। মেলায় আয়োজক সামসুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সুপ্রকাশ গিরি, আজগর আলি (পল্টু), বাপ্পাদিত্য গর্গ, অরুণাভ ভুঁইয়া-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।

 

 

Previous articleত্রিপুরায় শেষদিনের প্রচারে তারকাদের নামিয়ে ঝড় তুললো তৃণমূল
Next articleভ্যালেন্টাইন্স ডে তে মাড়োয়ারি রিলিফ সোসাইটির পাশে সুপার শক্তি ফাউন্ডেশন