ত্রিপুরায় শেষদিনের প্রচারে তারকাদের নামিয়ে ঝড় তুললো তৃণমূল

শেষদিনর প্রচারেও নজর কাড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের ত্রিপুরার ভোটপ্রচারে তারকার ছড়াছড়ি। বাংলার হেভিওয়েট মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমের মতো দাপুটে নেতাদেরও দেখা গেল শেষদিনের প্রচার, সাংবাদিক বৈঠক, পথসভা, রোড শো

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আজ, মঙ্গলবার শেষ হল প্রচার পর্ব। এদিন বিকাল ৪টে পর্যন্ত প্রচার করার সুযোগ পেয়েছে দলগুলি। শেষদিন ত্রিপুরায় প্রচারে ঝড় তুলল শাসক-বিরোধী সব পক্ষ। মাত্র দেড়বছর ত্রিপুরায় সংগঠন বিস্তার করে মানুষের মনে অনেকটাই প্রভাব ফেলেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, গণতন্ত্র-স্বাধীনতা না ফেরা পর্যন্ত এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না বিজেপিকে।

ফলে শেষদিনর প্রচারেও নজর কাড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের ত্রিপুরার ভোটপ্রচারে তারকার ছড়াছড়ি। বাংলার হেভিওয়েট মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমের মতো দাপুটে নেতাদেরও দেখা গেল শেষদিনের প্রচার, সাংবাদিক বৈঠক, পথসভা, রোড শো।

আরও পড়ুন- এক প্যাকেট দুধের দাম ২১০ টাকা! চিকেন ৮০০ ছুঁইছুঁই, পাকিস্তানের বাজার আগুন

এদিন সকালেই আগরতলায় ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি দাবি করেন, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার ব্যর্থ। ব্রাত্য বসুর কথায়, “ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী-সহ গোটা মন্ত্রিসভা বদলেছে। ওনারা ভূমিপুত্রদের ওপর ভরসা করছেন না। তাই দিল্লি থেকে আসছেন বারবার। বোঝাচ্ছেন, ছোট ইঞ্জিন ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু বড় ইঞ্জিন ব্যর্থ হবে না।” ব্রাত্যর আরও অভিযোগ, “হিন্দিবলয়ে ওদের ভোট কমেছে। সেটা পূরণ হতে পারে সেভেন সিস্টার থেকে। তাই এটাকে পাখির চোখ করতে চাইছে। আসলে ২০২৪ তাকিয়ে আছে।”

এদিন পথে নেমেও প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। সাংসদ নুসরত জাহান, ফিরহাদ হাকিম, যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রা শেষলগ্নের প্রচারে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে ঝড় তুলতে রোড-শো করেছেন।

 

 

Previous articleহায়দরাবাদ এফসির কাছে ১-০ গোলে হার এটিকে মোহনবাগানের
Next articleনন্দীগ্রামে সাইকেলে চেপে জনসংযোগ কুণালের, শুভেন্দুকে ”ভেজাল হিন্দু” বলে কটাক্ষ