আজ , বুধবার ছিল ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট। এদিন প্রোটোকল মেনে যখন বাজেট পেশ করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ঠিক তখনই বিধানসভার অন্য লনে সং সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বাজেট বক্তৃতায় অংশ পর্যন্ত নেননি। তবে বেশকিছু বিজেপি বিধায়ক বাজেট বক্তৃতায় হাজির ছিলেন।

এদিন বাজেট বক্তৃতার আগে থেকেই নেতিবাচক ভূমিকা পালন করবে রাজ্যের প্রধান ও একমাত্র বিরোধী দল সেটা যেন আগে থেকেই ঠিক ছিল। তাই শুভেন্দুর পাশাপাশি বাকি সমস্ত বিজেপি বিধায়ককে অভিনব সাজে দেখা গেল বুধবারের বাজেট অধিবেশনে। দেখা গেল সবার মুখে নীল রঙের মাস্ক। তার উপর সাঁটা রয়েছে একটি ৫০০ টাকার নোট।
কিন্তু কেন?

মুখে না বললেও বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর শুভেন্দুদের দাবি, রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫০০ টাকা দিয়ে বাংলার মানুষের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। তার প্রতিবাদেই নাকি মাস্কের উপর ৫০০ টাকার নোট সেঁটে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে এসেছেন তাঁরা।

এদিকে, বাজেট অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেসময় তাঁকে অন্য রূপে দেখা গিয়েছে। মুখঢাকা মাস্কে ৫০০ টাকার নোট! কী কারণে এভাবে প্রতিবাদ, তা অজ্ঞাত। এনিয়ে তিনি মুখ খোলেননি। এর পালটা দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের টুইট, “ওই টাকা নারদা কিংবা সারদার”।

আরও পড়ুন- সাহস পেলেন কী করে? শ্যামসুন্দরকে কড়া জবাব কুণালের কলমে

অন্যদিকে, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় বাংলার প্রকল্প নকল করেই আপাতত ইস্তেহার প্রকাশ করে কোনওরকমে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে গেরুয়া শিবির। মেঘালয়ে বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, “কন্যাসন্তান জন্মালেই দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা।” ত্রিপুরায় নাড্ডারা বলছেন, ”বালিকা সমৃদ্ধি স্কিম – কন্যা সন্তানের জন্মের জন্য আর্থিকভাবে দুর্বল অংশ থেকে প্রতিটি পরিবারকে ৫০,০০০-এর একটি বন্ড”। অর্থাৎ, বিজেপির দিল্লির শীর্ষ নেতারা যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের প্রকল্পের কপি করছেন, ঠিক সেই সময় শুভেন্দু ঘুরিয়ে সেটাকেই কটাক্ষ করছেন।

তৃণমূল অবশ্য জবাব দিতে ছাড়েনি। বাংলার শাসক দলের অনেক নেতার বক্তব্য, “ওদের কিছু বলার নেই বলে ওরা জোকার সেজে এসেছিল। এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এক্সটেনশন প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। বলা হয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নাম রয়েছে এমন মহিলাদের বয়স ৬০ বছর হয়ে গেলে তাঁরা এমনিই বার্ধক্যভাতা হিসেবে এক হাজার টাকা পাবেন। নতুন করে তাঁদের আর আবেদন করতে হবে না”।
