শুরু ত্রিপুরার ভোটগ্রহণ, দিনভর অবাধ-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোই চ্যালেঞ্জ কমিশনের

২০১৮ সালে দীর্ঘ আড়াই দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসে বিজেপি। কিন্তু মানুষের বিশ্বাস, ভরসার মর্যাদা রাখতে পারেনি বিজেপি। প্রত্যাশাপূরণ তো দূরের কথা, বাম জমানার থেকেও পিছিয়ে দিয়েছে রাজ্যকে

সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটগ্রহণ। হাইভোল্টেজ এই নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে মরিয়া জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্তে জানিয়েছেন, সকাল ৭টা থেকে বেলা ৪টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। মোট বুথের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩৭। এর মধ্যে ১ হাজার ১০০টি স্পর্শকাতর ও ২৮টি অতি স্পর্শকাতর বুথ। ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি ১৬টি রাজ্য থেকে পুলিশকর্মী আনা হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী টিএসআর। ত্রিপুরায় মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৮ লক্ষ ১৩ হাজার। ২৬৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ।

আরও পড়ুন:মুখে ৫০০ টাকার নোট সেঁটে ঘুরছেন শুভেন্দু! কুণাল বললেন “ও টাকা সারদা-নারদার”!

এবার ভোটে লড়ছেন না বাম জমানায় চারটি টার্মের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। ভোটের ময়দানে নেই ২০১৮ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসা বিজেপি সরকারের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। নজরকাড়া ও হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী এবং কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।

২০১৮ সালে দীর্ঘ আড়াই দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসে বিজেপি। কিন্তু মানুষের বিশ্বাস, ভরসার মর্যাদা রাখতে পারেনি বিজেপি। প্রত্যাশাপূরণ তো দূরের কথা, বাম জমানার থেকেও পিছিয়ে দিয়েছে রাজ্যকে। গেরুয়া আমলে ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। সন্ত্রাসের বাতাবরণে জঙ্গল রাজ্যে পরিণত হয়েছে ত্রিপুরা।

সেই আবহে দাঁড়িয়ে সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
ত্রিপুরায় ক্ষমতা ধরে থাকা পদ্মশিবিরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ৫৫টি আসনে শাসকদল প্রার্থী দিয়েছে। পাঁচটি আসন ছেড়েছে জোট সঙ্গী আইপিএফটি’কে। বাম-কংগ্রেস জোট এবারের ভোটে সবচেয়ে বড় চমক। জোটের তরফে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে ৪৩টি আসনে, কংগ্রেস ১৩টিতে এবং বাকি আসনে অন্যান্য বাম দল। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূলও। ২৮টি কেন্দ্রে লড়ছে জোড়াফুল শিবির। এছাড়াও তিপ্রামথা ৪২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। যার মধ্যে ২০টি আসন আদিবাসী অধ্যুষিত। ভোটের ফল আগামী ২ মার্চ।

 

 

Previous articleমুখে ৫০০ টাকার নোট সেঁটে ঘুরছেন শুভেন্দু! কুণাল বললেন “ও টাকা সারদা-নারদার”!
Next articleএইমসে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার কল্যাণীর বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার