শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari) তারিখের রাজনীতি যে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য সেটা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। ডিসেম্বর থেকে একের পর এক তারিখ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুরোটাই যে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ তা বাংলার মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছিল ২০২২ এর শেষ মাসেই। ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর ‘ধামাকা’ হবে বলে রাজনৈতিক সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু(Shuvendu Adhikari)। এর মধ্যে ১২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে(Supreme court) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু ওই দিন শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানিই হয়নি। মুখ বাঁচাতে ফের জানুয়ারি মাসের দিন ঘোষণা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। কেটে গেছে সেই সময়সীমাও। কিন্তু যাঁকে প্রতিমুহূর্তে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী, সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হলই না। ফিল্মি কায়দায় তারিখের পর তারিখ এসেই চলেছে।

হাজরার সভা থেকে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বে। ১২ ডিসেম্বরটা ১৩ জানুয়ারি হবে। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে না।’’ সেই ফাঁকা আওয়াজের প্রেক্ষিতে কোনও যুক্তি দাঁড় করাতেই করতে পারলেন না শুভেন্দু। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট বলছে, আগামী ১৪ মার্চকে অভিষেকের মামলার ‘সম্ভাব্য’ শুনানির দিন হিসাবে ধার্য করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। এই নিয়ে গত ডিসেম্বর মাস থেকে শীর্ষ আদালতে শুনানি চার বার পিছোল। ফলে অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রীর রক্ষাকবচের মেয়াদ অটুট রইল। শুভেন্দু অধিকারীর ঢক্কা নিনাদ যে বাস্তবে কোনও কাজের নয় তা আরও একবার প্রমাণিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
