রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত- শুধু বাংলার নয়, এই সমস্যায় জর্জিরিত কেরলও। সেই কারণে বাংলায় এসে শাসকদল তৃণমূল নয়, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা CPIM নেতা পিনারাই বিজয়ন (Pinarai Vijayan) দুষলেন বিজেপিকে (BJP)। শুক্রবার, হাওড়ায় সিপিআইএমের খেতমজুরদের সংগঠন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের দশম সর্বভারতীয় সম্মেলনের সমাবেশে যোগ দেন বিজয়ন। এদিন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu), সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Selim)-সহ বাম নেতৃত্ব।

বিজেপিকে তুলোধনা করে বিজয়ন। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্রংস করেছে বিজেপি ও কেন্দ্রের মোদি সরকার। বিজয়ন বলেন, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যপালদের ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানতে চাইছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রের সরকার চাইছে রাজ্যপাল এই পদটিকে ব্যবহার করে রাজ্যের সরকারগুলিকে ফেলে দিতে। তাকে অকেজো করে দিতে। এই ঘটনা কেরলে বিশেষভাবে দেখা যাচ্ছে।’’

হাওড়ার নরসিংহ দত্ত রোডে সিপিএমের জেলা সদর দফতরের পাশে বিজয়ানন্দপার্কে হওয়া প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনিও বিজয়নের সুরেই বলেন, রাজ্যপালদের ব্যবহার করে রাজ্যকে বিপাকে ফেরলতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘‘কেউ কেউ বলেন ৩৫৬ ধারা করতে হবে। মাঝে মাঝেই রাজ্যপাল নিয়ে খবর বেরোয়। এ রাজ্যপাল, ও রাজ্যপাল। কেউ হাতেখড়ি করছে, কেউ গলায় দড়ি দিচ্ছে, কেউ টপকে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালকে কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্ট হিসেবে পাঠিয়ে গোটা দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভাঙা হচ্ছে। রাজ্যপালকে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক এজেন্ট হিসেবে। অনেকে মনে করেন বোধ হয় রাজভবন থেকে ভালো হবে। আমরা কাশ্মীর দেখেছি। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা জারি হয়ে কাশ্মীরের কী অবস্থা। ৩৭০ জারি করে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।’’ এদিন প্রকাশ্য সমাবেশে আদানি থেকে বিবিসি-তে আয়কর হানা নিয়েও মোদি সরকারকে তুলোধনা করেন বাম নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যের মেয়াদ বাড়ালেন রাজ্যপাল
