মাসুল বাড়া নিয়ে টানাপোড়েন,কেবল টিভিতে বন্ধ অধিকাংশ পে চ্যানেল

যা পরিস্থিতি তাতে আপাতত কেবলে জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি ফের তড়িঘড়ি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলগুলি দেখতে পাচ্ছেন না দেশের প্রায় সাড়ে চার কোটি পরিবার। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। শনিবার দুপুর থেকে কেবল টিভি থেকে উধাও প্রিয় সব পে চ্যানেল। একদিকে জনপ্রিয় ধারাবাহিক যেমন দেখা যাচ্ছে না, তেমনই প্রিয় দলের ‘পারফরম্যান্স’ দেখা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন খেলাপ্রেমীরা।জানা গিয়েছে, যা পরিস্থিতি তাতে আপাতত কেবলে জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি ফের তড়িঘড়ি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

কারণ, টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)-এর নতুন মাসুল নীতি কার্যকর হওয়ার পর দাম বাড়িয়ে এমএসও-দের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে চায় চ্যানেলগুলির মালিকপক্ষ। তাঁদের ঠিক করে দেওয়া দামেই এমএসও এবং কেবল আপরেটারদের চ্যানেল চালাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই দাবি একতরফা ভাবে মেনে না নেওয়ায় কলকাতার সঙ্গে সারা দেশেই কেবল টিভির জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে কেবল অপারেটরা বেশি খরচের নিউ ট্যারিফ অর্ডারে সই করেনি তাদের সঙ্গে এমনটা করা হয়েছে।

অল ইন্ডিয়া ডিজিটাল কেবল ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা ওই চুক্তিতে সই করেনি।তাদের বক্তব্য, এর ফলে কেবল ব্যবহারে ২৫-৩৫ শতাংশ খরচ বাড়বে। যে বোঝা চাপবে গ্রাহকদের উপরেই। তাই এই বিষয়ে আইনি পথে হাঁটতে চান তারা।

কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আইডিয়াল কেবল অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাত সদস্য। তাঁদের বক্তব্য, এই বর্ধিত মূল্য কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। একতরফা ভাবে চ্যানেলের দাম বাড়ালে গ্রাহক যেমন কমে যাবে, তেমনই সর্বস্তরের ব্যবসার ক্ষতি হবে। দু’পক্ষের অনড় অবস্থানের ফলে পরিস্থিতি কঠিনতর হয়েছে।যা পরিস্থিতি এখনই সমস্যা মেটার কোনও সম্ভাবনা নেই।

শুধুমাত্র কলকাতাতেই নয়, দেশের প্রায় সব প্রান্তেই কম বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। দিল্লি, আমদাবাদ, তেলঙ্গানা-সহ কলকাতাতেও কেবল অপারেটাররা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সোমবার আদালতে সেই সংক্রান্ত শুনানিও রয়েছে।

 

 

 

 

 

 

Previous articleন্যায় বিচার পাবই: বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে কীসের জোরে বললেন প্রেম কুমারের বাবা!
Next articleহকি ডার্বি ঘিরে মহামেডান মাঠে র*ণক্ষেত্র, হা*তাহাতিতে জড়ালেন ইস্ট-মোহন সমর্থকরা