সিঙ্গুরে সমবায় নির্বাচনে সবুজ ঝড়, ৫৭ আসনের কটা গেল তৃণমূলের ঝুলিতে!

রবিবার তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর সিঙ্গুর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, নাচতে না জানলে উঠোনের দোষ। এমন অবস্থাই হয়েছে সিপিএমের। ২০০৩ সাল থেকে সিপিএম এই কৃষি সমবায় সমিতিকে একটা রাজনীতির আখড়া বানিয়ে রেখেছিল।

বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের মিথ্যা অভিযোগ করে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলেও লাভের লাভ কিছুই হল না। প্রত্যাশামতোই সিঙ্গুরের (Singur) ছিনামোড় সমবায় কৃষি উন্নয়ন (Chhinamore co operative Development) সমিতির নির্বাচনে সহজ জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ৫৭টির মধ্যে ৫৩টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই সব আসনেই জয় পেয়েছেন তৃণমূল মনোনীত প্রার্থীরা। এদিন জয়ের পর তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সবুজ আবির মেখে চলে বিজয়োৎসব।

এদিকে রবিবার সকাল থেকেই সিঙ্গুর ছিনামোড় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয় অশান্তি। নির্বাচনে নিজেদের হার নিশ্চিত জেনেই সিপিএমের (CPIM) কর্মী সমর্থকরা চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ঘটনার জেরে নির্বাচন প্রক্রিয়া কিছুক্ষণের জন্য ব্যহত হলেও পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয় নির্বাচন। আর বিকেলে ফলাফল বেরতেই দেখা যায় বামেদের শত অভিযোগ, কুৎসার জবাব সাধারণ মানুষ ভোট বাক্সে প্রতিফলিত করেছেন। উল্লেখ্য, ২০০৩ সাল থেকেই দীর্ঘ কুড়ি বছর ছিনামোড় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড সিপিএম-এর দখলে ছিল। আর সেই শেষ সম্বলটুকুও নিজেদের হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই রবিবার একাধিক চেষ্টা করলেও সবটুকু বিফলে যায়।

রবিবার তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর সিঙ্গুর বিধানসভার (Singur Assembly) বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না (Becharam Manna) জানান, নাচতে না জানলে উঠোনের দোষ। এমন অবস্থাই হয়েছে সিপিএমের। ২০০৩ সাল থেকে সিপিএম এই কৃষি সমবায় সমিতিকে একটা রাজনীতির আখড়া বানিয়ে রেখেছিল। প্রকৃত কৃষকদের কখনোই এই সমিতির সদস্যপদ দেওয়া হয়নি। এদিনের ফলাফল সিপিএমকে মোক্ষম জবাব দিয়েছে।

এদিন সিঙ্গুরের হাকিমপুর তুষ্টু চরণ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছিনামোড় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের নির্বাচন হয়। সিঙ্গুরের এই সমবায়ে ৫৭ আসনে নির্বাচন চলে। যেখানে ৫৩ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল এবং সবকটি আসনেই বাম সমর্থিত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। অন্যদিকে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা ১৪ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ১৪০০।